মিয়ানমারের নতুন প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা সেনাপ্রধানের

থিন কিউ
মিয়ানমারের রাজনীতিতে প্রবল প্রভাব ধরে রাখা সেনাবাহিনীর প্রধান দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট থিন কিউকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী এনএলডির দুই প্রার্থী থিন কিউ ও হেনেরি ভ্যানথিওর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল সেনাবাহিনী। এ নিয়ে সেনাবাহিনী এবং এনএলডির মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। তাই থিন কিউকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী প্রধান মিন অং লাইংয়ের শুভেচ্ছা জানানোকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। সেনাবাহিনী তাঁর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও শেষ পর্যন্ত গত মঙ্গলবার থিন কিউ মিয়ানমারের পাঁচ দশকের বেশি সময়ের ইতিহাসে বেসামরিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন। এনএলডির আরেক প্রার্থী হেনেরি ভ্যানথিওর ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। সংবিধান অনুযায়ী সেনাবাহিনীর আরেক প্রার্থী মিয়ে শোয়েও ভাইস প্রেসিডেন্ট হন। এনএলডি গত বছরের নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল বিজয় পায়।
কিন্তু সাংবিধানিক বিধিনিষেধের কারণে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেননি সু চি। সংবিধান সংশোধনের জন্য সু চি সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনায় বসলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। শেষ পর্যন্ত সু চি তাঁর স্কুলজীবনের বন্ধু এবং বিশ্বাসভাজন থিন কিউকে দলের প্রার্থী করেন। তাঁকে সু চির ছায়া প্রেসিডেন্ট হিসেবেই গণ্য করা হচ্ছে।সেনাপ্রধান মিন অং লাইং গতকাল বুধবার মিয়ানমারের ভাষাতে থিন কিউকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘মিয়ানমারের পার্লামেন্ট থিন কিউকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করায় সেনাবাহিনী তাঁকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। দেশের শান্তি, একতা ও উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে নতুন প্রেসিডেন্টকে সহযোগিতা করতে সেনাবাহিনী সব সময় সচেষ্ট থাকবে।’ মঙ্গলবারের ঐতিহাসিক নির্বাচনের সময় সেনাপ্রধান মিন অং লাইং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানদের সম্মেলনে যোগ দিতে লাওসে ছিলেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এক দিন পর তিনি শুভেচ্ছা জানালেন।

No comments

Powered by Blogger.