‘ইউসুফ নবী’ কোনো প্রেম করেননি by মাসুদ মজুমদার

১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ভালোবাসা দিবস’ পালিত হয়েছে। আয়োজন ছিল বহুমাত্রিক। প্রয়োজন ছিল সীমিত। বহুজাতিক কোম্পানি ও বণিকদের কাছে এসব দিবসের মাহাত্ম্য কম, প্রয়োজন বেশি। ঈদ, পূজা, বৈশাখসহ বিভিন্ন দিবসের বাণিজ্যিক মূল্য বেশুমার। মানুষ আগ্রহী না হলেও বণিকেরা বাণিজ্যের স্বার্থে এর আয়োজন রমরমা করে তুলবে। তাই প্রতিরোধ বা এড়ানোর চিন্তা না করে এসব দিবসকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখে কিছু ভালো কাজের প্রতিযোগিতার দিকে মনোযোগ দেয়া ভালো। এক সময় এর প্রয়োজন ফুরাবে। নতুন অবয়বে নয়া ধারণা প্রাধান্য পাবে। আগে উদযাপিত হতো এখন হয় না, এমন অনেক দিবস হারিয়ে গেছে। নতুন যোগ হয়েছে অনেক কিছু। আজ যা আছে তাও এক সময় থাকবে না। তাই ‘গেল গেল’ রব না তুলে নির্দোষ বিনোদনটুকু আর কল্যাণকর দিকগুলো আত্মস্থ করে পরিমার্জিত রূপ দেয়া ভালো। এই দেশে ভালোবাসা দিবসের রূপকার ‘যায়যায়দিন’ ও লাল গোলাপ খ্যাত শফিক রেহমান। তার সোজাসাপটা কথা- ‘আসলে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বলে কিছু নেই।’ একই সাক্ষাৎকারে তিনি ভালোবাসার একটা কালজয়ী সংজ্ঞাও দিয়েছেন। তার মতে- ‘মমত্ববোধ এবং শ্রদ্ধাবোধের মিশ্রণই হচ্ছে ভালোবাসা।’
কিছু বনি আদম ও নানা কিসিমের প্রযুক্তি বণিক ভালোবাসাকে যৌন উৎপীড়ন পর্যন্ত নামিয়ে দিয়েছে। মজার ব্যাপার যে, ভালোবাসার রঙ ছড়ানো বক্তব্যে ধর্মকেও সাক্ষীসাবুদ বানানো হয়েছে। রাধা-কৃষ্ণ এবং কিছু দেবদেবীর প্রসঙ্গ তোলা হয়। কথায় বলে ‘আমার জন্য যা পাপ, দেবদেবীর জন্য সেটা প্রেমকেলি বা লীলাখেলা।’ বলা হয়Ñ ‘প্রেম করেছে ইউসুফ নবী, তার প্রেমে জুলেখা বিবি গো।’ কারো কারো কাছে এ গানও যেন ভালোবাসা দিবসের প্রেরণা হয়ে ধরা দিয়েছে। অথচ ইউসুফ আ: কোনো প্রেম করেননি, বরং একতরফা পরকীয়া ও প্রেমের নামে নষ্টামির মায়াবী জাল ও ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে আল্লাহর নবীর মর্যাদা সমুন্নত করেছেন। প্রেমে প্রলুব্ধ হওয়ার চেয়ে কারাজীবন শ্রেয় ভেবেছেন। তার প্রেম বিষয়ক ডাহা মিথ্যা কথাটি কুরআন-বাইবেলও চ্যালেঞ্জ করেছে। বাইবেলে ‘জোসেফ’ অর্থাৎ হজরত ইউসুফ আ: বহুবার আলোচিত হয়েছেন। এ ছাড়া যেসব প্রেমকাহিনী, নাটক ও উপন্যাস চরিত্র আমাদের আকর্ষণ করে, তারা উল্লেখযোগ্য নাট্যকার ও ঔপন্যাসিকের অমর সৃষ্টি। বিভিন্ন গ্রিক, রোমান, আরব্য পুরাণ কাহিনী ও ভারতীয় লোকগাথা আর রূপকথারই সমষ্টি। প্রেম বিষয়ক বাস্তবতা একেবারে ভিন্ন। কিছু যৌবনের তাড়না। কিছু সঙ্গদোষের বাহানা। নারী-পুরুষের অসংযত ও সহজাত প্রবৃত্তিও প্রভাব ফেলে। বাস্তবে প্রেমপ্রীতি-ভালোবাসা একধরনের আবেগ। কিছু ভালো লাগা বস্তুতান্ত্রিক ভাবনার ঊর্ধ্বে যায় না। ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে। তার পরও ক’টি নাটক-উপন্যাসের আলোচিত সাহিত্য, মানে অমর প্রেমকাহিনী সম্পর্কে খানিকটা আলোকপাত করা যাক।
পুঁথিসাহিত্য ও সিনেমা শিল্পে ইউসুফ-জুলেখার যে প্রেমগাথা আবেগমথিত ভাষায়, কাব্যরসে সিক্ত করে উপস্থাপন করা হয়, সেটা কল্পনার বিষয়। নবী-রাসূলদের নিয়ে এ ধরনের কাহিনী একেবারেই উদ্ভট, যার কোনো ভিত্তি নেই। কেউ কেউ পারস্যের কবিদের বরাতে এবং মোহাম্মদ সগিরের নামে বাংলায় কাহিনীকাব্যের মধ্যে একটি সরস গল্প ঢুকিয়ে দিতে চেয়েছেন; যার সাথে পয়গম্বর হজরত ইউসুফ আ:-এর কোনো সম্পর্ক নেই। কেউ আগ্রহী হলে পবিত্র কুরআনের ১২ নম্বর সূরা ইউসুফ পড়ে দেখতে পারেন। তাতে গল্পের আমেজ পাবেন। প্রকৃত সত্যটাও উপলব্ধি করতে সক্ষম হবেন। শিরি-ফরহাদও একটি কল্পিত চরিত্র। অবশ্য পারস্যের সাসানীয় বংশের শাসক দ্বিতীয় খসরু পারভেজের স্ত্রীর নাম ছিল শিরি। তবে ফরহাদ নামটি পুরোটাই কল্পিত। মহাকবি ফেরদৌসির শাহনামায় এ গল্পটির প্রকৃত অবয়ব কী, তা জানি না।
লাইলি-মজনু আরব্য উপন্যাসের একটি অমর প্রেমগাথা বা কাহিনী। উমাইয়া শাসনামলের একটি ঘটনা, যা সপ্তম শতকের, সেটি দ্বাদশ শতকে ডালপালা গজিয়ে মহাকবির কলমে সাহিত্য চরিত্রের মর্যাদা পায়। নিখুঁত সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে এমন এক সংবেদনশীলতা দিয়ে চরিত্রগুলো সৃষ্টি করা হয়েছে, যাতে পাঠক অবচেতন মনেই একধরনের বাস্তবতার ছোঁয়া অনুভব করতে থাকেন। লাইলির শরীরের ব্যথা ও কষ্ট মজনু অনুভব করত। লাইলিও অনুভব করত মজনুর শরীরের কষ্ট ও ব্যথা। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এর সমর্থন হয়তো মিলবে না, কিন্তু সাহিত্যের আবেগ আলাদা বিষয়। কিংবদন্তি হচ্ছে, মজনুর নাম কায়েস। তবে কায়েস নামে প্রেমে উন্মাদ এক বেদুইনের বর্ণনা পাওয়া যায় আরব্য উপন্যাসে। এটাকে স্বর্গীয় প্রেমের রূপক ও উপমা দেয়া হয়। ‘দুই দেহ এক আত্মা’র প্রেমকাহিনী দিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমা। রচিত হয় গান। নানাভাবে বিভিন্ন ভাষায় গানটি স্থান পেয়েছে। ব্যর্থ প্রেমের এ কাহিনী শেষ পর্যন্ত লোকগাথা হয়ে নানাভাবে পুঁথিসাহিত্যকেও সমৃদ্ধ করেছে। জাতীয় কবি নজরুলও আলোড়িত হয়ে তার গানে তুলে আনেন, ‘লাইলি তোমার এসেছে ফিরিয়া মজনু গো, আঁখি খোল।’
জগৎ ও শতাব্দী খ্যাত ইংরেজ লেখক উইলিয়াম শেক্সপিয়রের কালজয়ী নাটক ‘রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’। প্রেমের গল্পগুলোর মধ্যে সেরা ও অসাধারণ। বিষপানে মৃত্যুর মাধ্যমে নাটকটিতে নায়ক-নায়িকার বিয়োগাত্মক পরিণতি দেখানো হয়েছে, যা দর্শকমনে রেখাপাত করে। নায়ক-নায়িকার প্রেমের বাধা, সংশয়, টানাপড়েন, ভুল বোঝাবুঝির পথ ধরে ত্যাগ ও তিতিক্ষার উপমা হয়ে এটি যেন জীবন্ত এক প্রেমকাহিনী হয়ে উঠেছে। অথচ এটি একটি কালজয়ী নাটক মাত্র। রোমিও-জুলিয়েট এখন প্রেমিক-প্রেমিকার রূপক।
একইভাবে ‘অ্যান্টোনি অ্যান্ড ক্লিওপেট্রা’ শেক্সপিয়রের আরেকটি অমর সৃষ্টি। নায়িকা ক্লিওপেট্রা অনিন্দ্য সুন্দরী মিসরীয় রানী। নায়ক তার প্রধান সেনাপতি অ্যান্টোনি। তাদের প্রেমকাহিনী-নির্ভর এই গল্পের একটি দূরতম ঐতিহাসিক ভিত্তি রয়েছে বলে মনে করা হয়। এ ঐতিহাসিক চরিত্র দু’টির গভীরতাও রয়েছে। রানী ক্লিওপেট্রাকে জানানো হয়েছিল ভুল তথ্য। এক দিকে যুদ্ধরত অ্যান্টোনিকে জানানো হয়, শত্রুরা রানীকে হত্যা করেছে। এটা করা হয়েছিল যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাপতি অ্যান্টোনির মনোবল ভেঙে দেয়ার জন্য। গুজব হলেও ক্লিওপেট্রার মৃত্যুর খবর শুনে অ্যান্টোনি নিজের ছুরি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ তথ্য রানীর কাছে পৌঁছলে রানীও নিজ ছুরি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। শেক্সপিয়র তার বিখ্যাত উক্তি ‘গ্রেট লাভ ডিমান্ডস গ্রেট স্যাক্রিফাইস’- অ্যান্টোনি অ্যান্ড ক্লিওপেট্রাকে মাথায় রেখেই করেছিলেন।
রাজকুমারী হেলেন ও যুবরাজ প্যারিসের প্রেমকাহিনীর স্রষ্টা মহাকবি হোমার। গ্রিক পুরাণের কাহিনী নিয়েই হোমার ‘ইলিয়ড’ রচনা করেন। ট্রয় নগরী ধ্বংসের কাহিনী, যা ‘ওয়ার ফর হেলেন’ বা ‘হেলেন অব ট্রয়’-এর সাথে গ্রিক পুরাণের ভাষ্যকেই বিধৃত করে। গ্রিক পুরাণ অনুযায়ী, এসব যুদ্ধে গ্রিকের দেবদেবীরাও অংশ নিয়েছে। প্রেমের জন্য এত রক্ত ঝরার কাহিনী আর নেই। রক্ত আর ধ্বংস দিয়েই পৃথিবীবিখ্যাত মহাকাব্য ইলিয়ড রচিত। হোমারের এই কালজয়ী সৃষ্টি এক যুগ ধরে চলা যুদ্ধ আর গ্রিক দেবদেবীর ধ্বংসলীলার অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে উপস্থাপিত হয়।
দেবদাস ও পার্বতী নিয়ে বাংলা সাহিত্যকে একটি কালজয়ী উপন্যাস উপহার দিয়েছেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। ‘দেবদাস’ উপন্যাস যেন লেখকসৃষ্ট চরিত্র নয়, হৃদয়ছোঁয়া এক বাস্তবতা। প্রেমের রূপনগরে এই জুটি যেন বাঙালির অতি চেনা।
মোগল সম্রাট আকবর দি গ্রেট-এর পুত্র সেলিম আনারকলি নামে অনিন্দ্য সুন্দরী এক নর্তকীর প্রেমে পড়েছিলেন। সম্রাট আকবর পুত্রের এই অসম প্রেম মেনে নেননি। তাতে রুষ্ট, ক্ষুব্ধ ও প্রতিবাদী সেলিম পিতার বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে হেরে গেলে তার জন্য মৃত্যুদণ্ড সাজা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেলিমকে বাঁচাতে নর্তকী আনারকলি তার দায় স্বীকার করে সেলিমের প্রাণভিক্ষা চাইলে সেলিমের সামনে আনারকলিকে জীবন্ত কবর দেয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হলো। অমর এই প্রেমগাথা উপমহাদেশের সব ক’টি অঞ্চলের মানুষকে আলোড়িত করে। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও কাশ্মিরে আনারকলি মার্কেটগুলো যেন সেলিম-আনারকলির প্রেমের জয়গাথা হয়ে আছে।
বাবর, হুমায়ুন, আকবর ও জাহাঙ্গীরের পর পঞ্চম মোগল সম্রাট ছিলেন শাহজাহান। সম্রাট হওয়ার আগ পর্যন্ত তার নাম ছিল খুররম। খুররম বা শাহজাহান ছিলেন পিতামহ আকবরের স্নেহধন্য। শাহজাহান-মমতাজ প্রেমকাহিনী যেন পবিত্রতার ছোঁয়া পাওয়া এক জীবন্ত কাব্য। অমাত্য আসফখাঁর কন্যা আরজুমান্দবানু নামের এক বালিকার সাথে ১৫ বছর বয়সী (খুররম) শাহজাহানের বিয়ে হয়েছিল ১৬১২ সালে। তাদের বাগদান হয়েছিল ১৬০৭ সালে। আরজুমান্দ সম্রাট শাহজাহানের ১৪ জন সন্তানের জননী। সম্রাট প্রিয়তমা স্ত্রী আরজুমান্দের নাম পাল্টে রাখেন মমতাজমহল।
১৬২৯, মতান্তরে ১৬৩১ সালে প্রিয়তমা স্ত্রী চতুর্দশ সন্তান গহর বেগমের প্রসবকালে মারা গেলে সম্রাট শাহজাহান প্রিয় স্ত্রীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি অনবদ্য স্থাপত্য নির্মাণের উদ্যোগ নেন। সেটি নির্মাণ করতে সময় লেগেছিল ২২ বছর। তার সেই ভালোবাসার নিদর্শন তাজমহল এখনো আগ্রায় যমুনার তীরে পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য হিসেবে মানুষের অমোঘ আকর্ষণ হয়ে বিরাজ করছে। এই মোগল সম্রাটের শেষ জীবন কেটেছে নিঃসঙ্গভাবে। তিনি আরো একটি স্মৃতিসৌধ গড়তে চেয়েছিলেন। সেটা হতো কালো মর্মরপাথরের। তার সন্তান আওরঙ্গজেব অর্থের অপচয় ভেবে তাতে বাদ সাধেন এবং বৃদ্ধ পিতাকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়ে আটকে রাখেন। ফলে কালো মর্মরপাথরের নতুন স্থাপনার বাস্তবতা দেখার সুযোগ শাহজাহানের হয়নি। শাহজাহানকে যে ঘরে আটকে রাখা হতো, সেটাও ছিল যমুনার তীরে- তাজমহলের লাগোয়া। শাহজাহান যেন সেখান থেকে প্রিয়তমা স্ত্রীর কবর তাজমহল দেখতে পারেন, সেজন্য একটি জানালা তৈরি করে দেয়া হয়েছিল। মৃত্যুর পর শাহজাহানকেও কবর দেয়া হয়েছিল মমতাজমহলের পাশে।
প্রেম বিষয়ক কাব্য লেখা কিংবা সমালোচনা, কোনোটিই আমাদের কাজ নয়। ভালোবাসা নিয়ে কোনো বাড়তি শ্লাঘাবোধও করি না। তবে তারুণ্যে প্রেমের আবেগ ও আবেশ নিরেট বাস্তবতা। প্রেম-ভালোবাসা মৌলিক গুণ। ভালোবাসা আর মমত্ববোধ সবার কাম্য। তবে ‘প্রেম করেছিলেন ইউসুফ নবী’ বলে যে গান গাওয়া হয়, যে সিনেমা দেখানো হয়, তা রূপকথা; সত্য নয়। বাস্তবে হজরত ইব্রাহিম আ:-এর চতুর্থ অধস্তন পুরুষ হজরত ইউসুফ আ:। তার বাবা ইয়াকুব আ:, তার দাদা হজরত ইসহাক ইবনে ইব্রাহিম আ:। খ্রিষ্টানদের বাইবেল এবং ইহুদি ধর্মগ্রন্থ যবুরেও তিনি একজন সম্মানিত নবী। মধ্যপ্রাচ্যের সব ধর্মাবলম্বীর কাছে উল্লেখিত চার নবীর বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। ‘জোসেফ সান অব জ্যাকব’Ñ এ চারটি শব্দ ইসরাইলের সব গোত্রের কাছে পরিচিত ও সম্মানিত। অন্যান্য নবী-রাসূল পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন সূরায় আলোচিত হয়েছেন, কিন্তু হজরত ইউসুফ আ: তথা জোসেফ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ও আলাদা একটি সূরা রয়েছে। ইউসুফ আ: সম্পর্কে তার পিতা হজরত ইয়াকুবের (বা জ্যাকব) স্বপ্নের কথা ওল্ড টেস্টামেন্টেও রয়েছে। জুলেখা যে মিসরীয় শাসক পটিপারসের স্ত্রী, এটাও ওল্ড টেস্টামেন্টে তুলে ধরা হয়েছে। পারস্যের লেখকেরা এটি নিয়ে অনেক বেশি উৎসাহ দেখিয়েছেন। একজন সম্মানিত নবী সম্পর্কে মিথ্যা আরোপের পর প্রতিবাদ করার জন্যই আমাদের এটুকু প্রচেষ্টা।
masud2151@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.