তারা যেনো শান্তিপূর্ণভাবে চলে যায় -মাহফুজ আনামকে হয়রানী বিষয়ে ড. কামাল

বিশিষ্ট আইনজীবী ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে জাতীয় ঐক্য গড়তে মাঠে নেমেছি। এই দেশ সকলের, কোন ব্যক্তি গোষ্টি বা পরিবারের নয়। নিয়োগ বাণিজ্য, ভর্তি বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য সভ্য সমাজে চলতে পারে না। এসব থেকে মুক্ত হতে জাতীয় ঐক্য অবশ্যই হবে। গতকাল শনিবার রাজধানীর পল্টনে শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঐক্যবদ্ধ ছাত্র সমাজ আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের নামে হয়রানিমূলক মামলার বিরুদ্ধে সারা পৃথিবীতে আওয়াজ ওঠেছে। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্বাধীন সংবাদপত্রের পক্ষে। সংবিধানেও বাক স্বাধীনতার কথা লেখা আছে। যারা এসব হয়রানি করছে, তারা যেন শান্তিপূর্ণভাবে চলে যান। তা না হলে কী শিক্ষা দিতে হবে মানুষ তা জানে।  ড. কামাল বলেন, ৭০’র নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ছিলাম। ঢাকার পাঁচটি আসনের দায়িত্ব ছিল আমার উপর । আমার সেক্রেটারি হিসাবে তখন কাজ করেছেন ঢাকার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফ। পাঁচটি আসনে পাঁচ লাখ টাকা খরচ করেছি। কিন্তু কোন ছাত্র টাকা নেয়নি। তারা বড় জোর চা-বিস্কুট খেয়েছে। আর এখনকার ছাত্র নেতারা টাকার মালিক হয়। এটা শুনে লজ্জা হয়। তিনি বলেন, ৭৩ এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আমাকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। নির্বাচনের পর খরচ থেকে বেঁচে যাওয়া ১৩ হাজার টাকা উনাকে ফেরত দিয়েছি।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ বলেন, ১৪ই ফেব্রুয়ারি জাফর, জয়নালের রক্তের বিনিময়ে ৯০ সালে গণতন্ত্র ফিরে আসে। অথচ সংবাদপত্রে এ ব্যাপারে কোন সংবাদ দেখলাম না। কোন সংগঠনের কর্মসূচিও ছিল না। অথচ ওইদিন বিশ্ব ভালবাসা দিবস পালন করা হয়ছে। বিশ্ব ভালবাসার নামে ইতিহাস মুছে দেয়া হচ্ছে। অথচ তাদের রক্তের বিনিময়ে গত ২৬ বছর ধরে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া দেশ শাসন করছেন। সানজিদ রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন এডভোকেট  সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার, পৃথি শর্মা, নাজমূল হাসান প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.