গণগ্রেফতারের আড়ালে গ্রেফতার-বাণিজ্য চলছে -সুপ্রিম কোর্ট বারের সংবাদ সম্মেলন

সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, দেশব্যাপী বিরোধী জোটের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতারের নামে পুলিশ গ্রেফতার-বাণিজ্য চালাচ্ছে। কোনো ধরনের মামলা এবং ওয়ারেন্ট ছাড়াই বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এ ধরনের গণগ্রেফতারের ভয়ে সাধারণ মানুষও ঘরছাড়া হচ্ছে। এই ঘরছাড়া মানুষ দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
আজ সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট বার অডিটরিয়ামে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সহসম্পাদক মাজেদুল ইসলাম পাটোয়ারী, কোষাধ্যক্ষ শওকত আরা বেগম দুলালি, কার্যনির্বাহি সদস্য শামীমা সুলতানা ও মির্জা আল মাহমুদ।
সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, যৌথবাহিনীর বিশেষ অভিযানের নামে কোনো মামলা ও ওয়ারেন্ট ছাড়াই হাজার-হাজার মানুষ গ্রেফতার করে এক বিভীষিকাময় অবস্থার সৃষ্টি করা হয়েছে। এ অবস্থায় দেশ চলতে পারে না। অবিলম্বে গণগ্রেফতার বন্ধ করুন। মামলা ছাড়া গণগ্রেফতার কোনো দেশের জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে না। এই গণগ্রেফতারের আড়ালে গ্রেফতার-বাণিজ্য চলছে।
তিনি আরো বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ১ নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিদ্যমান আইন অনুসরণ না করে ঢালাওভাবে গ্রেফতার করায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি আরো বলেন, বিচারিক আদালতের রায় ছাড়াই কোনো ব্যক্তিকে জঙ্গি হিসেবে টিভি ক্যামেরার সামনে হাজির করা হচ্ছে ও অভিযুক্ত করা হচ্ছে। এটা মৌলিক ও আইনের শাসনের পরিপন্থি। আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে ঘৃণা করি। ক্রসফায়ার নয়, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে নির্মূল করতে হলে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।
সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, রাজনৈতিক বিরোধীপক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই সরকার গণগ্রেফতার চালাচ্ছে। অথচ আমাদের সংবিধান আছে, দেশের আইন আছে। এভাবে সংবিধান ও আইনকে পাশ কাটিয়ে একটা দেশ চলতে পারে না।

No comments

Powered by Blogger.