পদত্যাগের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত : নীতিশ

শেষ পর্যন্ত পদত্যাগের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। সোমবার সকালে জেডিইউ প্রধান জানিয়ে দেন, তার পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করার কোনো প্রশ্নই নেই। রোববার নীতিশ কুমারের ইস্তফা ঘিরে দিনভর নাটক চলে বিহার রাজনীতিতে। দলের বৈঠকে তার ইস্তফা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন জেডিইউয়ের বিধায়করা। চাপের মুখে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কথা জানান নীতিশ। দলের বাইরেও রোববার সারাদিন ধরে চলেছে বিহার বিধানসভার ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা অংক। আরজেডি থেকে তিন বিধায়ক ইস্তফা দিয়ে নীতিশের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে, সরাসরি কিছু না বললেও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতে অন্য দলের সঙ্গে জোটে যেতে রাজি আছেন জানিয়ে রাস্তা খোলা রাখছেন লালুপ্রসাদ যাদবও। সোমবার সকালে তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রকাশ করবেন বলে রোববারই জানিয়েছিলেন নীতিশ।
সেইমতো এদিন জেডিইউ প্রেসিডেন্ট শরদ যাদব জানান, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিত প্রেক্ষাপটে নীতীশ কুমার তার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন না। জানি, এই সিদ্ধান্ত নেয়াটা কতটা কঠিন ছিল, কিন্তু এটাই চূড়ান্ত এবং সঠিক সিদ্ধান্ত। এর ফলে গোটা দেশ, তার দল এবং নীতিশজীরও ভালো হবে।” এদিন বিকালে ফের বৈঠকে বসে বিহারের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা স্থির করবে জেডিইউ নেতৃত্ব। তবে নীতীশের ইচ্ছা অনুযায়ী দলিত অথবা ইবিসি সম্প্রদায় থেকেই নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করা হবে। পাশাপাশি লালুপ্রসাদের আরজেডির সঙ্গে যে তার দল কোনোমতেই হাত মেলাবে না, তাও এদিন স্পষ্ট করেছেন শরদ যাদব। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, জেডিইউর অন্দরের পরিস্থিতি এতটাও সুবিধাজনক নয় নীতীশের পক্ষে। মূলত দলের ভেতরকার বিদ্রোহ সামাল দিতেই ইস্তফার কৌশল নিয়েছেন তিনি। এবার নির্বাচনে মোদি-হাওয়ার সৌজন্যে ভয়াবহ ধাক্কা খেয়েছে জেডিইউ ২০০৯ সালে এনডিএতে থাকাকালীন বিহারের ৪০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২০টি পেয়েছিল নীতীশের দল। বিজেপির হাত ছাড়ার পর এবার তা এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র দুইয়ে। শুক্রবার ফলাফল ঘোষণার পর নীতীশের ডাকা মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না তার ছয় মন্ত্রী। এরা প্রত্যেকেই বিজেপির হাত ছাড়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন অতীতে।

No comments

Powered by Blogger.