আত্মপক্ষ সমর্থনে ইংলাক আদালতে, আজ রায়

ইংলাক সিনাওয়াত্রা
ক্ষমতার অপব্যবহার করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা আত্মপক্ষ সমর্থনে গতকাল মঙ্গলবার আদালতে হাজির হয়েছেন৷ তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর পদ হারাতে হবে কি না, সে ব্যাপারে সাংবিধানিক আদালত আজ বুধবার রায় (রুলিং) দেবেন৷ ইংলাককে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলে থাইল্যান্ডে চলমান রাজনৈতিক সংকট আরও গভীর হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ ইংলাকের সমর্থক ও বিরোধীরা রাজপথে পাল্টাপাল্টি সমাবেশের হুমকি দিচ্ছে৷ ২০১১ সালে নির্বাচনের পর ইংলাকের দলীয় স্বার্থে তৎকালীন নিরাপত্তাপ্রধান থাওইল প্লিনেস্রিকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ আনা হয়৷ সাংবিধানিক আদালতের প্রধান চারুন ইনতাচান গতকাল বলেন, অভিযোগের শুনানিতে যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ নেওয়া হয়েছে এবং নয় সদস্যের বেঞ্চ আদালত বুধবার (আজ) রুলিং দেওয়ার জন্য প্রস্তুত৷
ধানচাষিদের ভর্তুকি প্রদানসংক্রান্ত একিট দুর্নীতির ঘটনায় ইংলাক দািয়ত্বে অবহেলা করেন বলে জাতীয় দুর্নীতি দমন কমিশন (এনএসিসি) অারেকটি অভিযোগ আনে৷ এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রধানমন্ত্রীর পদ হারানোর পাশাপাশি পার্লামেন্টে অভিশংসনের মধ্য দিয়ে রাজনীতি থেকে পাঁচ বছরের জন্য িনষিদ্ধ হতে পারেন ইংলাক৷ তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে গতকাল আদালতে বলেন, ‘আমি কোনো আইন লঙ্ঘন করিনি৷ নিরাপত্তাপ্রধান নিয়োগের মাধ্যমে আমি কোনো সুবিধা নিইনি৷ সরকারপন্থী ‘লাল শার্ট’ কর্মীরা ইংলাকের অব্যাহতি ঠেকানোর অঙ্গীকার করেছে৷ ফলে আদালতের রায় ইংলাকের বিরুদ্ধে গেলে ভয়াবহ রাজনৈতিক সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ ছয় মাস ধরে বিক্ষোভের মধ্যে রাজনৈতিক সহিংসতায় দেশটিতে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু ও বহু মানুষ আহত হয়েছে৷ থাই রাজনীতিতে সম্প্রতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে সাংবিধানিক আদালত৷ সমালোচকদের অভিযোগ, আদালতের তড়িঘড়ি তৎপরতা রাজনৈতিকভাবে সিনাওয়াত্রা পরিবারের বিরুদ্ধে যাচ্ছে৷ বিরোধীরা অভিযোগ করছে, ইংলাক তাঁর ভাই থাকিসনের নির্দেশনা অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন৷ এএফপি, রয়টার্স ও বিবিসি৷

No comments

Powered by Blogger.