সবার উচিত টাইগারদের পাশে থাকা

লড়াই করে হারল বাংলাদেশ
প্রতিদিন গড়ে একটি ‘হত্যা’
একটি মানবাধিকার সংস্থার হিসাবে দেখা গেছে, নতুন বছরের শুরুর ৪১ দিনে ৪৪ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন। এর সমালোচনা করে পাঠক আব্দুল্লাহ আল মামুন লিখেছেন: বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড দ্রুত বন্ধ হওয়া উচিত। যত বড় সন্ত্রাসী হোক না কেন বিচারের মধ্য দিয়ে শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এটা বিচারের বিকল্প নয়। সাইফ আল খান: বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড দ্রুত বন্ধ হলে, সমাজে সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, অপহরণের দরজা ব্যাপক হারে খুলে যাবে। রকি: শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সরকার কঠোর অবস্থানে গেছে এবং সে জন্য বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটছে, এটা বোঝা যায়।
লড়াই করে হারল বাংলাদেশ
প্রথম টি-টোয়েন্টির মতো দ্বিতীয়টিতেও শেষ বলে হেরেছে বাংলাদেশ। পাঠক রানার মন্তব্য: নিরপেক্ষ দর্শকদের জন্য দুটি ম্যাচ নিঃসন্দেহে টাকা উশুল হওয়ার মতো। কিন্তু আমাদের কাছে এই লড়াই করে হারা খুবই পীড়াদায়ক। কারণ ক্রিকেটের পরিসংখ্যানে এগুলো কখনো লেখা থাকবে না। হেরেছি—এটাই শুধু লেখা থাকবে। বাংলাদেশের অনাগত সাফল্যের জন্য শুভকামনা রইল...। মুজাহিদুল ইসলাম: সবচেয়ে খারাপ সময়েও দলের সঙ্গে আছি—দুর্দান্ত খেলেছে, শ্রীলঙ্কার নাকে-মুখে পানি ঝরিয়েছে দল। অসাধারণ। মো. ফাহমিদুর রহমান: বল ধরাই যাচ্ছিল না। শেষ ওভারে ফরহাদকে দেওয়াটাই ঠিক হয়েছে। মাশরাফি খুবই ভালো ক্যাপ্টেনসি করেছেন। ১২০ রান নিয়ে আর কী-ই বা করা যেত। সবার উচিত টাইগারদের পাশে থাকা। ইমন: অতি বুদ্ধিমান দর্শকেরা বলছেন, শেষ দুই ওভার সানি আর সাকিবকে দিলে নাকি ম্যাচ জিতত বাংলাদেশ। অতিবুদ্ধিমান দর্শকেরা বোধ হয় দেখেননি ডিউয়ের জন্য স্পিনাররা বল গ্রিপ করতে পারছিলেন না। এই বুদ্ধিমান দর্শকেরা এটাও বোঝেননি যে মাশরাফি কী অসাধারণ ক্যাপ্টেনসি করেছেন। গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশে আমার দেখা সেরা ক্যাপ্টেনসি। যখন যেখানে দরকার প্রয়োজনমতো চেঞ্জ করা হয়েছে। এককথায় ১০০ তে ১০০! ১৮ আর ১৯তম ওভার মাশরাফি আর রুবেল করেছেন, ওখানে উইকেট পেলে ম্যাচটাই অন্য রকম হতো। সানি বা সাকিবকে দিলে পেরেরা ওই ওভারেই খেলা শেষ করে দিতেন। তখন এই বুদ্ধিমান দর্শকেরাই বলতেন যে কেন স্পিনার দেওয়া হলো!
সাগর-রুনি হত্যার দুই বছর, তদন্ত কার্যত ব্যর্থ
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে কার্যত ব্যর্থ সরকার। হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে প্রশাসনের ব্যর্থতায় লজ্জিত বলে জানিয়েছেন খোদ সরকারের তথ্যমন্ত্রী। এ ব্যাপারে মহিউদ্দিন মাসুদের মন্তব্য: এতগুলো তদন্ত সংস্থা ব্যর্থ হতে পারে না। কেন তারা ব্যর্থ, সেটি তদন্ত করলেই খুনিরা বের হয়ে যবে। মানুষ এখন বিশ্বাস করতে শুরু করেছে, এই সরকারের সময়কালে এই হত্যার কিনারা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। রাজীব চৌধুরী: সাগর-রুনির হত্যার কার্যত কোনো তদন্তই হয়নি। তদন্তের নামে সরকার এত দিন যা করেছে তা ছিল নাটক আর লোক-দেখানো। কারণ সুষ্ঠু তদন্ত হলে ‘কেঁচো খুঁজতে যে সাপ বেরিয়ে যাবে।’ শমসের আহমেদ: লিখতে লিখতে ক্লান্ত হয়ে যাবে কিন্তু সুবিচার হবে না। কারণ, রাজার নীতি এখনো বলীয়ান।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি ফিরে পাওয়া অনিশ্চিত
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের অগ্রাধিকারমূলক বাজার-সুবিধা (জিএসপি) ফিরে পাওয়া নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। জিএসপি নিয়ে আগামী মে মাসে ওয়াশিংটনে পর্যালোচনা সভা হওয়ার কথা আছে। পাঠক শেখ মুস্তাফিজ এ ব্যাপারে লিখেছেন: আমেরিকা যে শিল্পের পণ্যের জন্য জিএসপি সুবিধা দেয় না, সেই শিল্পের কর্মপরিবেশ নিয়ে তাদের বাড়াবাড়ি ভালো দেখায় না। শর্তপূরণ করলে পোশাকশিল্পেও জিএসপি সুবিধা পাওয়া যাবে, এ ঘোষণা না দিয়ে শুধু হুমকি দেওয়াটা বোধ হয় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারণ, এই জিএসপি ফিরে পেলেও অর্থনীতিতে আমরা তেমন কোনো প্রভাব দেখতে পাব না। তা ছাড়া ভালো কর্মপরিবেশের জন্য ভালো পণ্যমূল্যও দিতে হবে। ক্রেতারা চিনি ছাড়াই মিষ্টি খেতে বাংলাদেশে পাঁয়তারা করেন। তৌহিদুর: চীনকে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের অনুমতি দিন, দেখবেন পরদিন থেকে বারাক ওবামা শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট চাইছেন! আমেরিকাকে সোজা করার জন্য বর্তমানে আমাদের হাতে অনেক কলের কাঠি আছে!! আব্দুল হক: ওরা ওদের ব্যবসায়ের চিন্তা করে, গণতন্ত্র নিয়ে ওনাদের কোনো মাথাব্যথাই নেই। কথাটা ভুলে গেলে কি চলবে? বাণিজ্য ঠিক তো সব ঠিক। জাহিদুল আমিন: জিএসপি কার জন্য? কেন এত হইচই? এ থেকে কী শ্রমিকেরা কোনো সুবিধা পাবেন? সুবিধা ব্যবসায়ীদের জন্য, যাঁরা এখনো ন্যূনতম মজুরিটুকু দিতে রাজি নন। আমেরিকার চাপে নয়, সরকারের উচিত ব্যবসায়ীদের থেকে শ্রমিকদের সব সুবিধা আদায় করে দেওয়া। তখন জিএসপি এমনি এমনি আসবে। কারও দ্বারে দ্বারে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। রক্তচোষা ব্যবসায়ীদের বুঝতে হবে শ্রমিকদের ঘামের দাম কত।
ইস্তফা দিলেন কেজরিওয়াল
জন লোকপাল বিল উত্থাপন ছাড়াই বিধানসভার অধিবেশন শেষ হওয়ার পরই এর প্রতিবাদে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এর সমালোচনা করে পাঠক মো. আব্দুর রহমান লিখেছেন: অপরিণত ব্যক্তির মতো সিদ্ধান্ত নিলেন কেজরিওয়াল, যা বাস্তবায়নের পূর্ণ এখতিয়ার তাঁর হাতে নেই; সে ধরনের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে না পারার জন্য পদত্যাগ করাটা কতটা জরুরি ছিল? এ পদত্যাগ তাঁর নির্বাচকমণ্ডলী অর্থাৎ জনগণকে হতাশ করবে। তিনি তো শুধু একটি প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসেননি, বাকিগুলোর জন্য তিনি কাজ করতে পারতেন। প্রচলিত রাজনীতিবিদেরা তাঁকে ব্যর্থ করে দেওয়ার জন্য এককাট্টা হবেন—এমনটা অস্বাভাবিক নয়। অরবিন্দ তাঁদের সে ফাঁদে পা দিয়েছেন। শুভ্র আহমেদ: হ্যাঁ, ইস্তফা দিচ্ছেনই বটে। শুধু সৎ হলেই চলে না। অনেক রাজনৈতিক মারপ্যাঁচ বুঝতে হয়, জানতে হয়। অনেক নিয়মনীতি মানতে হয়। কামরুল হাসান রাঙা: পলায়ন কোনো সমাধান নয়, যুদ্ধ করতে না পারলে মাঠে নামাই উচিত হয়নি। রেহান: কেজরিওয়াল চলমান বিনোদনে পরিণত হয়েছেন! উনি প্রশাসন চালানোর জন্য দক্ষ নন বা উপযুক্ত নন। উনি যেটাতে দক্ষ, সেটা হলো বিরোধিতা এবং এর জন্য বিরোধী দলই উপযুক্ত। প্রশাসন চালানোর অদক্ষতা ঢাকতে এই পদত্যাগ! খালি গলাবাজি করে যে প্রশাসন চালানো যায় না, সেটা বুঝতে পেরেছেন এবং এই অভিজ্ঞতার আলোকে ফিউচারে বিরোধিতার ক্ষেত্রে কাজে লাগাবেন বলে মনে করি।

No comments

Powered by Blogger.