পর্যটকদের জন্য গান্ধীর আশ্রম জীবন

ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর জীবন আচরণের সঙ্গে ইচ্ছে করলেই পর্যটকরা মিলিয়ে নিতে পারে নিজেদের। আর এজন্য গান্ধীর নির্মিত আশ্রমে থাকার সুযোগ পাবেন তারা। পৃথিবীর যে কেউ এ সুযোগ নিতে পারেন। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের পুরোধা মহাÍা গান্ধীর অহিংস, নিরহংকার জীবন বিশ্বের শান্তিকামী মানুষের কাছে প্রাতঃস্মরণীয়। তারা আশ্রম জীবনের সাদামাটা কর্মের মধ্য দিয়েও তিনি লক্ষ্য অর্জনে অটুট ছিলেন। কিভাবে তিনি ক্ষমতার মায়াজাল ছিন্ন করে শুরু করেছিলেন চরকায় কাপড় বোনা? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চান আধুনিক বিশ্বের অনেকেই। আর তাদের জন্য এ সুযোগ সৃষ্টি করছে ভারত সরকার। গান্ধীজির নিজের হাতে তৈরি ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের একটি আশ্রম খুলে দেয়া হচ্ছে বিশ্বের আপামর পর্যটকদের জন্য। এ আশ্রমটির নির্মাণকাল ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দ। এটিই গান্ধী নির্মিত প্রথম আশ্রম। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই পর্যটকরা এ আশ্রমে ‘গান্ধী জীবন’ উপভোগ করতে পারবেন।
গান্ধীজির চরকায় সুতাকাটা, কাপড় বোনার সুযোগ পাবেন সবাই। এছাড়া পাড়ায় পাড়ায় গান্ধীজির মতো ঘুরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেশার সুযোগ থাকছে। গান্ধীর মতো প্রার্থনা, সাধনা সবই করতে পারবেন আগতরা। তবে সব কিছু করতে হবে মহাত্মার মতো খাদি পোশাক পরে অথবা শরীরে লাগাতে হবে হাতে বোনা পোশাক। আশ্রমে এক রাত থাকতে পর্যটকদের গুনতে হবে ১ হাজার ভারতীয় রুপি অর্থাৎ ১৬ মার্কিন ডলার। এ পরিমাণ অর্থ শোধ করে যার যতদিন খুশি আশ্রমে থাকতে পারবেন। এক্ষেত্রে পর্যটকদের জন্য ভারত সরকারের হুশিয়ারি হল, গান্ধী জীবন অনুকরণের সময় কোনো কিছুতেই চাকচিক্য যোগ হবে না। থাকবে না মনোহারি খাবার-দাবার। সবাইকে গান্ধীর ‘১১ শিক্ষা’ মেনে চলতে হবে। ভারত সরকার স্পষ্ট করেই বলেছে, তাদের এ কাজের উদ্দেশ্য গান্ধীর সাদামাটা জীবনাচরণের সঙ্গে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার সুযোগ অবারিত রাখা। তথ্যসূত্র : এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.