৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবি মেনে নিতে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন বিরোধী নেতা খালেদা জিয়া। সেই সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে নিজের বাড়িতে চায়ের দাওয়াতও দিয়েছেন তিনি।
সংলাপের প্রস্তাবকে ‘নাটক’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেছেন, সরকার সঙ্কটে পড়েছে তাই জনগণের দৃষ্টি ফেরাতে হঠাৎ করে প্রধানমন্ত্রী নতুন নাটক শুরু করেছেন। এ নাটকের নাম- ডায়ালগ। বিরোধী দলের সমাবেশ বানচালে এই নাটক করছে সরকার। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে খালেদা জিয়া সমাবেশে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে   বলেন, সরকার সংলাপের কথা বলছে, আমি যদি বলি ২৪ ঘণ্টা এখানে অবস্থান করবো, আপনারা অবস্থান করবেন? ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সরকারকে এখানে আসতে হবে। এ সময় উপস্থিত সবাই হাত তুলে, স্লোগান দিয়ে তাকে সমর্থন জানান। তখন সরকারকে সময় বেঁধে দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, হেফাজতের একটি পূর্বঘোষিত কর্মসূচি আছে। তাই আমরা ২৪ ঘণ্টা নয়, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ঘোষণার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। এ পর্যায়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে খালেদা জিয়া আবার বলেন, ৪৮ ঘণ্টা পরে ডাক দিলে আবার আপনারা হাজির হবেন তো? উপস্থিত জনতা আবারও হাত তুলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে অঙ্গীকার করেন। তখন খালেদা জিয়া বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি না মানলে এমন কর্মসূচি দেয়া হবে, যাতে সরকার বিদায় নেবে অথবা ভয়ে পালিয়ে যাবে। ৪৮ ঘণ্টার পর যখন আসবো তখন আর অনুমতির অপেক্ষা করবো না। গতকাল রাজধানীর শাপলা চত্বরে ১৮ দল আয়োজিত মহাসমাবেশে তিনি এ সময়সীমা বেঁধে দেন। খালেদা জিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী সঙ্কটে তাই সংলাপের প্রস্তাব দিয়েছেন, ফটোসেশন করতে চান, হয়তো চায়ের দাওয়াতও দিতে পারেন। আমিই চায়ের আমন্ত্রণ দিচ্ছি। আসুন সেখানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনা করি। তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই- বর্তমান পরিস্থিতিতে ডায়ালগ যথেষ্ট নয়। ডায়ালগের তেমন কিছুই নেই। সরকারকে পরিষ্কার বলতে হবে- নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, সংবিধান সংশোধন করে সংসদে বিল আনুন। গতকালের মতো বলুন- দেশের স্বার্থে, দেশের মানুষের স্বার্থে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। সংলাপের পরিবেশ তৈরি করুন। আমরা আলোচনায় প্রস্তুত।

বেশভূষার মতো কথা পাল্টান তিনি
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশে করে খালেদা জিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী বেশভূষার মতো কথা পাল্টান। তিনি সৌদি আরবে গেলে হিজাব পরেন, ভারতে গেলে তিলক পরেন। উনাকে বিশ্বাস করা যায় না। তিনি যদি মুসলমান হন তবে মহানবীর বিরুদ্ধে কটূক্তিকারীদের গ্রেপ্তার করবেন। তিনি বলেন, রানা প্লাজা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী অনেক কথা বলেছেন। সংসদে মিথ্যাচার করেছেন। কিন্তু রানা যুবলীগের নেতা। স্থানীয় আওয়ামী লীগের এমপির সঙ্গে তার কোলাকুলির দৃশ্য দেশবাসী দেখেছে। সে রানা প্লাজা ৫ দিন আগে বন্ধ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হরতাল বিরোধী মিছিল করতে তাদের জোর করে সেখানে জড়ো করে বাইরে তালা লাগানো হয়েছিল। এটা কোন দুর্ঘটনা নয়, একটি হত্যাকাণ্ড। সরকার তাকে বিদেশে পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিল, মানুষের আন্দোলনের কারণে গ্রেপ্তার করেছে। রানাকে গ্রেপ্তার করা হলেও এমপিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। রানাকে রিমান্ডে জামাই আদরে রাখা হয়েছে। সে এখন হুমকি দিচ্ছে সবাইকে দেখে নেবে।

সাভারে ব্যর্থ সরকার
খালেদা জিয়া বলেন, সাভার ট্রাজেডি পরবর্তীতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। তারা বিদেশীদের সাহায্য নেয়নি, নিজেরাও সাহায্য করেনি। স্থানীয় লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেক মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে। অথচ সরকার মৃত্যুর সঠিক হিসাব পর্যন্ত দেয়নি। সেখানে পর্যাপ্ত ওষুধ, গ্যাস কিছুই পৌঁছানো হয়নি। মানুষই সেগুলো সরবরাহ করেছে। স্থানীয় এনাম মেডিকেলের প্রশংসা করে তিনি বলেন, পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরা সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছে না। এখন মানুষের দৃষ্টি আছে, সে দৃষ্টি সরলে সেটুকুও পাবে না। তিনি বলেন, সরকার শোক দিবস ঘোষণা করেই ক্ষান্ত কিন্তু কোন ছুটি দেননি। সংসদ চলেছে, প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন ও দলীয় কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। সেদিন কেন ছুটি ঘোষণা করা হয়নি সরকারের কাছে জবাব চাই। খালেদা জিয়া বলেন, সরকার আমাদের সমাবেশ না করে দুর্গতদের সহযোগিতা করতে বলেছে। পরিষ্কার বলতে চাই, আমরা লোক ভাড়া করে সমাবেশ করি না। আপনারাই হল-মার্ক, ডেসটিনি, শেয়ারবাজারের টাকা বের করুন, জনগণের কাজে লাগবে। পদ্মা সেতু দুর্নীতির টাকা গেছে লন্ডনে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়-স্বজনরাই থাকেন। আমরা বলছি, ওই টাকা উদ্ধার করুন, মানুষের কাজে লাগান।

আপনার কি মনে পড়ে?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিরোধী নেতা বলেন, এখন বড় বড় কথা বলেন- ১৯৯১-৯৬ পর্যন্ত কি আন্দোলন করেছেন আপনার কি মনে পড়ে? ওই সময় কি বক্তব্য দিয়েছিলেন, কেমন নৈরাজ্য চালিয়েছিলেন? সে সময়ের পত্রিকাগুলো খুলে দেখুন। আপনারা হাসতে হাসতে মানুষ খুন করতে পারেন। তাই আপনার মুখে মানবতার কথা মানায় না। খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে কিন্তু তাদের সময়েই দেশ বারবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আজ আওয়ামী লীগ দেশের সব কিছু খেয়ে ফেলেছে। ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পর হিন্দুদের বাড়িঘর জমি তারাই দখল করেছিল। এবারও ক্ষমতায় এসেই রামুতে বৌদ্ধদের ওপর আওয়ামী লীগই নৈরাজ্য চালিয়েছে। তাই পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতে পারছে না। মূলহোতাকে প্রধানমন্ত্রী বিদেশে সফরসঙ্গী করেছেন। এভাবেই খুনি ও সন্ত্রাসীদের আওয়ামী লীগ পুনর্বাসিত করে। আজকের প্রধানমন্ত্রীই এক সময় লগিবৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা, গান পাউডার দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, একটি লাশের বদলে ১০টি লাশ ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা মামলাও দেইনি। কিন্তু এখন কথায় কথায় মিথ্যা মামলা দেয়া হচ্ছে হুকুমের আসামি হিসেবে। হরতালে বিশ্বজিৎকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুন করেছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। এখনও তার বিচার হয়নি।

ইলিয়াস আলীকে ফেরত চাই
খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ মানবতার কথা বলে কিন্তু আমাদের ইলিয়াস আলী ও চৌধুরী আলমকে গুম করেছে। ইলিয়াসের ছোট সন্তানগুলো প্রতিদিন কাঁদছে। সরকারের তৈরি করা বাহিনীই তাদের গুম করেছে। আমরা তাকে সুস্থ শরীরে ফেরত চাই। মনে করবেন না, আপনারা ক্ষমতার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত পেয়ে গেছেন। খালেদা জিয়া বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে এখন পর্যন্ত কত লোক নিখোঁজ হয়েছে সব হিসাব আমাদের কাছে আছে। এ সরকারের লোকজনই তাদের তুলে নিয়ে হত্যা করেছে।

হেফাজত নয় আওয়ামী লীগই জঙ্গি
খালেদা জিয়া বলেন, হেফাজতে ইসলামের দাবিকে আমরা সমর্থন করি। আমরাও সমর্থন দেবো। যদি ধর্মদ্রোহীদের শাহবাগ থেকে না সরায় তবে আলেমদের সরানো চিন্তা করবেন না। এবার তারা যেতে আসবে না। আলেমরা রাজনীতি করেন না, তারা ধর্মকে ভালবেসে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। কিন্তু সরকার বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা নাকি জঙ্গি। এদেশে জঙ্গিদের কোন স্থান নেই। যদি থাকলে আওয়ামী লীগেই আছে। জঙ্গিনেতা আবদুর রহমান হচ্ছে মির্জা আজমের বোনজামাই। জঙ্গিরা আওয়ামী লীগের আত্মীয়। তিনি বলেন, আলেমরা দেশকে ভালবাসে। হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচি পালনের অধিকার আছে। তাদের বাধা দেবেন না। বাধা দিয়ে সঙ্কটের সৃষ্টি হবে। আমরা বলেছি, ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। আওয়ামী লীগই সন্ত্রাসী দল। তারা মুক্তিযুদ্ধের পর, ১৯৯৬-০১ এবং বর্তমানে সন্ত্রাস করছে। আওয়ামী লীগ একটি গণবিরোধী ও সন্ত্রাসী দল।
প্রশাসনে দলীয়করণ, বিচারবিভাগ প্রশ্নবিদ্ধ
সরকার প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে। পুলিশ দলীয় ক্যাডার বাহিনীতে পরিণত করেছে। র‌্যাব-পুলিশের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে আজ দেশে-বিদেশে। কি উচ্চ আদালত, কি নিম্ন আদালত পুরো বিচারবিভাগকে ধ্বংস করা হয়েছে। কাকে রিমান্ডে দিতে হবে, কার জামিন নামঞ্জুর করতে হবে তা বিচারকদের ফোনে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। নির্দেশ দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীর অফিস। তিনি বলেন, আজ দেশের অবস্থা এত খারাপ যে ডাক দিলেই দেশের মানুষে যে কোন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য তৈরি। কিন্তু আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী তাই আলোচনার কথা বলেছি।

এটাই কি গণতন্ত্র!
আমাদের দলীয় কার্যালয়ের দরজা ভেঙে ১৫৬ জন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মিটিংয়ে আমাদের নেতাদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। সিনিয়র নেতা নজরুল ইসলাম খান, যুবদল নেতা আবদুস সালাম আজাদ ও আবদুস সালাম গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আমরা মিছিল করলে পুলিশ বোমা ও গুলি মারে আর মন্ত্রী বলেন, বিরোধী দল দেখামাত্র গুলি করবে। পাগল ছাড়া কেউ এমনটা বলতে পারে না। আমাদের চিফ হুইপের সঙ্গে কেমন আচরণ করা হয়েছিল তা দেশবাসী দেখেছে। যে পুলিশ সে কাজ করেছিল প্রধানমন্ত্রী তাকেই প্রমোশন দিয়েছেন। এখন সবাই বলছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পাগল-উন্মাদ, আগে উচ্চ আদালত প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিল রংহেডেড। তাদের হাতে কি দেশ নিরাপদ থাকতে পারে? তিনি বলেন, আমরা বিরোধী দল কিন্তু সংসদে কথা বলার সুযোগ দেয়া হয় না। রাস্তায়ও মিছিল মিটিং করতে দেয়া হয় না। অন্যকিছু দল তাদের অফিসেও যেতে পারে না। এটাই কি গণতন্ত্র? বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, সরকার বিপদে পড়লে গলার স্বর নরম হয়। গত চার বছর আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিয়েছি। কিন্তু আমাদের নেতাদের মিথ্যা মামলা গিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেক সিনিয়র নেতা ও জামায়াতের বহু নেতা এখন কারাগারে। অবিলম্বে তাদের মুক্তি দিন।

শাহবাগে তোতাপাখির বুলি
শাহবাগের তরুণ প্রজন্মের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, কিছু ছেলে তরুণ প্রজন্মের নামে সরকারের কথা বলছেন। তারা নিজেদের চাকরির কথা বলছে না, দুর্নীতির কথা বলছে না, লুটপাটের কথা বলছে না, পদ্মা সেতুর কথা বলছে না। তারা দেশ ও দেশের মানুষের কথা বলছে না। শাহবাগে তরুণদের তোতা পাখির মতো একটি বুলি শিখিয়ে দেয়া হয়েছে। তারা সেটাই বলছেন। তারা কাদের হয়ে কথা বলছে তা এখন দেশবাসীর কাছে পরিষ্কার। তারা মহানবীকে নিয়ে কটূক্তি করছে। শাহবাগে তাদের অবস্থানের কারণে সেখান দিয়ে গাড়ি চলতে পারে না। সেখানে দু’টি হাসপাতাল আছে। রোগীদের অসুবিধা হয়। তিনি বলেন, আমাদের সমাবেশের কারণে সাভারে উদ্ধারকাজে অসুবিধা হয়। তাহলে শাহবাগে তরুণরা কিভাবে দিনের পর দিন বসে আছে? সরকার কেন তাদের জামাই আদরে লালন-পালন করছে দেশবাসী জানতে চায়।

সরকারকে ফেলতে চাইনি
খালেদা জিয়া বলেন, আমরা সরকারকে ফেলতে চাইনি। নইলে কোন বিল্ডিংয়ে নয় সরকারকেই ধাক্কা দিতাম, সরকার পড়ে যেতো। তাই সরকারকে বলতে চাই, যে কয়টা দিন ক্ষমতায় আছেন পাগল-ছাগল মন্ত্রীদের বাদ দেন। তিনি তো কেবল পাগল নন, একজন বড় রাজাকার। তিনি বলেন, সরকার মানবতাবিরোধী বিচারের নামে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে চায়। আমরা বলেছি, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বিচার হবে। ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের যত যুদ্ধাপরাধী আছে তাদেরও বিচার হবে।

গার্মেন্ট শিল্প মহাসঙ্কটে
তিনি বলেন, দেশের গার্মেন্ট শিল্প আজ মহাসঙ্কটে, বিপদের মধ্যে পড়েছে। আওয়ামী লীগের গুণ্ডাদের কারণে বিদেশীরা সেখানে বিনিয়োগ করতে চাইছেন না। কয়েকদিন আগে একজন রাষ্ট্রদূত আমাকে বলেছেন, একজন বিদেশী বায়ার ৩০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে এসেছিলেন। কিন্তু দেশের পরিস্থিতি দেখে সোজা কম্বোডিয়া চলে গেছেন। তিনি বলেন, প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়ছে দিনে দিনে। অথচ কৃষকরা উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। শ্রমিকদের বেতন বাড়েনি। কিন্তু সরকার তেল, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও বাড়িভাড়া বাড়িয়েছে। গ্যাস-বিদ্যুতের অভাবে হাউজিং ব্যবসা আজ ধ্বংসের মুখে। সরকার ঘরে ঘরে চাকরি দেয়নি, ঘরে ঘরে বেকার বাড়িয়েছে। এখন মধ্যপ্রাচ্য থেকে শূন্যহাতে লোক ফিরে আসছে। এ সরকারকে কোন দেশই বিশ্বাস করে না।

এ সরকার গণহত্যাকারী
বিরোধী নেতা বলেন, এ সরকার গণহত্যাকারী। তারা রাজনীতিবিদ, সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সাংবাদিকদেরও হত্যা করছে। গ্যাস দুর্নীতির একটি বড় প্রমাণ পেয়ে গিয়েছিল বলেই সাগর-রুনিকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের বাসার কিছুই হারায়নি, কেবল ল্যাপটপটি নিয়ে গেছে সরকার। খালেদা জিয়া, দৈনিক আমার দেশে সরকারের লুটপাট ও দুর্নীতির যে সংবাদ ছাপা হয়েছে তাতে সরকার ভয় পেয়েছে। তারা অমানুষের মতো সম্পাদক মাহমুদুর রহমান গ্রেপ্তার করেছে। তিনি মাহমুদুর রহমান ও পত্রিকাটির কর্মচারীদের মুক্তি এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

পরিবেশবাদীরা প্রতিবাদ করুন
বাগেরহাটে নির্মাণাধীন বিদ্যুৎপ্রকল্পকে পরিবেশ বিপর্যয়কারী উল্লেখ করে খালেদা জিয়া পরিবেশবাদীদের প্রতিবাদের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আপনাদের প্রতি অনুরোধ প্রতিবাদ করুন আমরা সমর্থন দেবো। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দল নয়, তাই তারা বিদেশীদের সঙ্গে গোপন চুক্তি করেছে। যা সংসদেও উপস্থাপন করা হয়নি। কিন্তু দেশের স্বার্থ বিসর্জন দেয়া সে চুক্তি বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না। তিনি বিরোধী জোটের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আজকের যুবসমাজ মুক্তিযুদ্ধ করেনি। এখন দেশরক্ষার যুদ্ধে তাদের নামতে হবে। খুব শিগগিরই রাজপথে আবার দেখা হবে।

অন্য নেতারা যা বলেছেন
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার সভাপতিত্বে সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, এদেশের মানুষ আর শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাজরীন ফ্যাশনসে অনেক শ্রমিক পুড়ে অঙ্গার হয়েছে। সরকার সাভারে মানুষ সৃষ্ঠ রানা প্লাজার ট্র্যাজেডি ঘটিয়েছে। এর বিচার একদিন এদেশের মানুষ করবে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, আলোচনার ডাক দিয়ে এক কদম এগিয়েছেন, এখন আপনাকে আরও দু’কদম এগোতে হবে। কারণ আলোচনার ডাক দিলেই আলোচনা হয় না। প্রধানমন্ত্রীই এক সময় বলেছিলেন, এজেন্ডা ছাড়া আলোচনা হয় না। এখন আমরা সেটাই বলতে চাই। কি নিয়ে আলোচনা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান কে হবেন? এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হতে হবে। এমকে আনোয়ার বলেন, সাভারের রানা প্লাজা ধসের পরপরই প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। কারণ তিনি ব্যথা অনুভব করেননি। ব্যথা অনুভব করলে শপথ অনুষ্ঠান দু’দিন পিছিয়ে দিতেন। জনগণই প্রধানমন্ত্রীকে মাইনাস করেছে। ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা বলেন, হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচিতে বাধা দিলে বিএনপি বসে থাকবে না। তাদের সঙ্গে বিএনপিও যোগ দেবে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি কেয়ারটেকার সরকার বাতিল করেছেন। সুতরাং আপনাকেই আবার কেয়ারটেকার সরকার আনতে হবে। এটা আপনার দায়িত্ব। জোটের শরিক এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীরবিক্রম বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিসের জন্য আলোচনা চান। আপনি তত্ত্বাবধায়কের জন্য আন্দোলন করেছেন। আপনিই আবার এ ব্যবস্থা বাতিল করেছেন। সুতরাং আপনাকে একইভাবে ওই ব্যবস্থা ফিরিয়ে দিতে হবে। কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মে. জে. (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে নিয়ে টিটকারি করে কথা বলেছেন। আমি তাকে হুঁশিয়ার করে দিতে চাই, সেনাবাহিনীকে নিয়ে কখনও টিটকারি করে কথা বলবেন না। বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি আজকের মিটিং না করে সেই টাকা সাভারে ক্ষতিগ্রস্তদের দিতে বলেছেন। আমরাও চিন্তা করেছিলাম। কিন্তু আপনি টাকা দিয়ে অস্ত্র কিনছেন। এই অস্ত্র দিয়ে কাকে মারবেন? আপনাকে বলি, অক্সিজেন নিয়ে আসুন। আপনাকে সহযোগিতা করা হবে। স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার  জেনারেল (অব.) আসম হান্নান শাহ’র নেতৃত্বে ড্যাব, স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল, ছাত্রদল, মহিলাদল, শ্রমিকদলসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের ১০টি টিম সমাবেশে শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করে। সমাবেশ পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব আবদুল সালাম ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক। ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকার সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আসম হান্নান শাহ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ড. আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব বরতকত উল্লাহ বুলু, মিজানুর রহমান মিনু, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর মাওলানা মকবুল আহমাদ, জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ এমপি, শামসুল ইসলাম এমপি, এনডিপি  চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, আমিনীর ছেলে মাওলানা মারুফ, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মসিউর রহমান, ফজলুল হক মিলন, মজিবর রহমান সরোয়ার, আসাদুল হাবিব দুলু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

জামায়াত-শিবিরের শোডাউন
রাজধানীর মতিঝিলে ১৮ দলের সমাবেশে শোডাউন করছেন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। মঞ্চের আশপাশের জায়গা দখল করে নিয়েছেন তারা। গতকাল দুপুরের পর থেকেই তারা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। এই সমাবেশকে ঘিরে নিজেদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরছে জামায়াত-শিবির। সমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত হয়েছেন। মঞ্চের ডান পাশের রাস্তায় জামায়াত-শিবির অবস্থান নিয়েছে। সেখানে তারা দলের আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে মিছিল করছেন। এছাড়াও নটর ডেম কলেজের রাস্তার মাঝখানে অবস্থান নিয়েছে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াত নেতাদের ছবিসহ ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে সরকারবিরোধী স্লোগান তুলছেন দলের নেতাকর্মীরা। জামায়াতের সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম ও নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছবি বেশি প্রদর্শিত হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকাজে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ভেঙে দেয়ার দাবি তুলেছে জামায়াত-শিবির। এছাড়াও দলের নেতারা বক্তব্য দেয়া শুরু করলে একযোগে স্লোগান দিতে থাকেন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। মঞ্চে ছিলেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমদ, এমপি হামিদুর রহমান আযাদ, কর্মপরিষদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম ভুঁইয়া, শফিকুল ইসলাম মাসুদ এবং শিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল জব্বার।

জনসমুদ্র শাপলা চত্বর
রাজধানী শাপলা চত্বরে ১৮ দলের সমাবেশ শুরু হওয়ার আগেই পরিণত হয় জনসমুদ্রে। লোকারণ্য হয়ে যায় পুরো মতিঝিল এলাকা। সকালের হাজারো মানুষের সমাবেশ দুপুর গড়াতেই লাখো মানুষে রূপ নেয়। নেতাকর্মীদের ঢেউ শাপলা চত্বর থেকে উত্তর দিকে ফকিরেরপুল, পশ্চিম দিকে দৈনিক বাংলা পেরিয়ে পুরানা পল্টন এবং দক্ষিণ দিকে ইত্তেফাক মোড়ে গিয়ে উপচে পড়ে। শাপলা চত্বরের আশপাশের গলিতেও নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। প্রশাসন থেকে বেঁধে দেয়া জায়গা পর্যন্ত সমাবেশের মাইক লাগানো হলেও জনতার ঢল এর বাইরে চলে যায়। সমাবেশ চলাকালে ওই সব এলাকায় যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। সরকার থেকে পরিবহন বন্ধ করে দেয়ার ভয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপি-জামায়াতের হাজার হাজার নেতাকর্মী কয়েক দিন আগেই রাজধানীতে চলে আসেন। সন্ধ্যায় শাপলা চত্বরে সমাবেশের অনুমতির পর থেকেই নেতাকর্মীরা মঞ্চের আশপাশে অবস্থান নেন। সকাল গড়াতেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বাড়তে থাকে। তবে সকাল দিকে ছাত্রশিবিরের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়। তারা জামায়াতের আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলোয়ার হোসেনসহ গ্রেপ্তারকৃত সকল নেতাকর্মীর মুক্তির দাবি সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন বহন করেন। স্লোগানে স্লোগানে মাতিয়ে রাখেন সমাবেশস্থল। সকাল থেকেই প্রকৃতির রূপও ছিল অন্য রকম। ছিল না ঠা ঠা রোধ। একটু পরপর মতিঝিলের আকাশে মেঘগুলো ছাতার মতো ছায়া ধরে সমাবেশে। মাঝে মাঝে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপস্থিত নেতাকর্মীদের তেতে ওঠা শরীরে জুড়িয়ে দিয়েছিল। বেলা ১২টা থেকে শুরু হয় বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক, ছাত্রদল, মহিলা দলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ঢল। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিভিন্ন দিকে দিয়ে শাপলা চত্বরের সমাবেশস্থলে প্রবেশ করেন। সারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকেও বাসে করে হাজার হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে যোগ দেন। শাপলা চত্বর লাগোয়া পশ্চিমমুখী করে সমাবেশ মঞ্চ তৈরি করা হয়।  মঞ্চের ডানপাশে অবস্থান নেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। বামপাশে অবস্থান নেন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পৃথক রঙের টুপি পরে সমাবেশে যোগ দেন। তেজগাঁও থেকে আসা বিএনপির কয়েক শ’ নেতাকর্মীর একটি মিছিল সবার হাতে হাতে পাকা ধানের শীষ বহন করে সবার দৃষ্টি কাড়েন। খিলগাঁও এলাকা থেকে একটি মিছিল কয়েক শ’ হাত লম্বা একটি দলীয় পতাকা বহন করে সমাবেশে যোগ দেয়। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠন আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবি সংবলিত ব্যানার নিয়ে আসেন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিভিন্ন ব্যানারে ছেয়ে ওই এলাকা।  খালেদার বক্তব্য নির্বিঘ্নে দেখার জন্য সমাবেশস্থলে কয়েক জায়ান্ট স্ক্রিন বসানো হয়।

বিভিন্ন সংগঠনের চিকিৎসাসেবা
সমাবেশে অসহ্য গরমে তাৎক্ষণিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়া ব্যক্তিদের চিকিৎসাসেবা দিয়েছে ডক্টর এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ড্যাব, ন্যাশনাল ডক্টর’স ফোরাম (এনডিএফ) ও শিবিরের কয়েকটি সংগঠন। রূপালী ব্যাংকের সামনে ছাত্রশিবির মেডিকেল জোন নামে একটি বুথ বসায়। বুথে আসা অসুস্থ লোকদের সেবা দেন রাজধানীর বিভিন্ন মেডিকেলে কলেজের শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে ওর স্যালাইন, পানি, বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হয়। নটর ডেম কলেজের সামনে একটি বুথ বসায় এনডিএফের চিকিৎসকরা। সেখান থেকে তারা একইভাবে চিকিৎসা সেবা দেন। এছাড়া এনডিএফের কয়েকটি এম্বুলেন্স সমাবেশের চারপাশে ঘুরে ঘুরে সার্বক্ষণিক সেবা দেয়।

জাসাসের সংগীত পরিবেশন
মূল সমাবেশ বেলা ২টায় শুরু হলেও সকাল থেকে মতিঝিলের শাপলা চত্বরের মঞ্চকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের ভিড় জমতে থাকে। নেতাকর্মীদের সংগীত পরিবেশন করে উজ্জীবিত করে রাখেন জাসাসের শিল্পীরা। বেলা ১টা পর্যন্ত চলে তাদের পরিবেশনা। সমাবেশে সংগীত পরিবেশন করেন জাসাসের সাধারণ সম্পাদক ও কণ্ঠশিল্পী মনির খান, রিজিয়া পারভীন, নাসিরসহ বেশ কয়েকজন সংগীতশিল্পী। তারা দেশাত্মবোধকসহ জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানকে নিয়ে গান পরিবেশন করেন।

No comments

Powered by Blogger.