উত্তর নাইজেরিয়ায় নিরাপত্তা জোরদার

নাইজেরিয়া সরকার দেশের উত্তরাঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। গত দুই দিনের সহিংস বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ওই সহিংসতায় নিহত মানুষের সংখ্যা ১০০ জনের বেশি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সংবাদকর্মীরা। উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ ইয়োবে, কানো ও বোর্নোতে সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত সান্ধ্য আইন জারি করা হয়েছে। সেনারা সড়কে পাহারা বসিয়েছেন।
এর আগে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জঙ্গিরা স্থানীয় থানা ও সরকারি দপ্তরে হামলা চালিয়েছে। তারা বন্দুক ও ধারাল অস্ত্র নিয়ে সাধারণ নাগরিক ও পুলিশ সদস্যদের হত্যা করেছে।
রাজধানী লাগোস থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জানান, সহিংসতা দমনে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নাইজেরিয়ার পুলিশ ও সামরিক বাহিনীকে।
সবচেয়ে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বোর্নো প্রদেশের মাইদুগুরি শহরে। বিবিসির একজন সাংবাদিক জানান, স্থানীয় থানার সামনে নাগরিক ও জঙ্গিদের মৃতদেহ স্তূপ হয়ে ছিল। তিনি দেখেছেন, মৃহদেহের সংখ্যা ১০০টির বেশি। পুলিশ ধারণা করছে, হামলাকারী জঙ্গিদের একটি অংশ মাইদুগুরির ধর্মীয় নেতা মোহাম্মেদ ইউসুফের অনুসারী, যারা ‘বোকো হারাম’ নামে পরিচিত। এই মোহাম্মেদ ইউসুফের ফতোয়া হচ্ছে, ‘পশ্চিমা শিক্ষা ইসলামি শিক্ষার বিরোধী।’ নাইজেরিয়ার পুলিশ তাঁকে খুঁজছে। গত সোমবার রাতেও ওই শহরে গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে।
মাইদুগুরি ছাড়াও ইয়োবে প্রদেশের পোতিসকুম শহরের থানা ও আশপাশের ভবনে হামলা চালানো হয়েছে। এ ছাড়া উত্তর নাইজেরিয়ার বৃহত্তম শহর কানো থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত উদিল এলাকায় পুলিশের ওপর হামলার খবর পাওয়া গেছে।
কয়েকজন নেতার গ্রেপ্তার হওয়ার খবরে বোকো হারামের সদস্যরা গত রোববার থানায় হামলা শুরু করে। নাইজেরিয়ার মুসলিম জঙ্গিদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা ও তালেবান জঙ্গিদের যোগসূত্র রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.