দক্ষিণ এশিয়া : ভ্রমণবিলাসীদের স্বপ্নপুরী

ভ্রমণবিলাসীদের জন্য দক্ষিণ এশিয়া স্বপ্নপুরী বিবেচিত হতে পারে। কেবল তাজমহল বা হিমালয় নয়, এর পরতে পরতে রয়ে গেছে শত শত অবিশ্বাস্য পর্যটন স্পট। কেবল দেখার জন্য চোখ দুটি খোলা রাখতে হবে। এসব স্পটের কোনো কোনোটি প্রত্যন্ত এলাকায় এবং তেমন পরিচিত নয়। আবার কোনো কোনোটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম নগরীগুলোর চাকচিক্যে আড়াল হয়ে আছে।
এখানে কয়েকটি অনেকটা অখ্যাত কিন্তু অনিন্দ্য সুন্দর পর্যটন স্পটের কথা আলোচনা করা হলো।
মাজুলি (ভারত)
দক্ষিণ-পূর্ব ভারতের আসামে এর ঠিকানা। পর্যটকদের কাছে খুব একটা পরিচিত নয় আসাম। অথচ এখানেই আছে ভারতের বৃহত্তম নদী-দ্বীপ মাজুলি। একবার দেখলে বারবার দেখতে ইচ্ছা হবে। আসামীয়দের কাছে এটা তাদের সাংস্কৃতিক রাজধানী। অনেক হিন্দু মন্দির আছে এখানে। ৪৫০ বর্গ কিলোমিটারের দ্বীপটি পাখি-দর্শকদের জন্য বিশেষভাবে আকর্ষণীয়।
স্বপ্ন-উদ্যান (নেপাল)
দি গার্ডেন অব ড্রিমসকে নেপালিরা কেশর মহলও বলে। ফায়ার ও আইস পিজেরিয়া দিয়ে থামেলে ঢোকার মুখে পড়ে স্থানটি। কাঠমান্ডু যাওয়ার পথে থামেল হয় সাধারণ পর্যটকদের প্রথম গন্তব্য। অত্যন্ত সুন্দর স্পট। তবে খুব কম পর্যটকই ভালো মতো তাকান এর দিকে। চমৎকার বৃক্ষরাজি, ইউরোপিয়ান-প্রভাবিত নেপালি প্যাভিলিয়ন ও বাগান এবং সেইসাথে রেস্তোরাঁ ও বার-সংবলিত জায়গাটি আয়েস করার জন্য সেরা স্থান হতে পারে। বাগান দিয়ে পায়চারী করার সময় যেকোনো মানুষই আবিষ্কারকে পরিণত হতে পারে। তাদের চোখে নিত্যনতুন প্রজাতি ধরা পড়ে।
সান্দুর পোলো টুর্নামেন্ট (পাকিস্তান)
পাকিস্তানের সান্দুর পাসে প্রতি বছর জুলাই মাসে হয় এই টুর্নামেন্ট। সমুদ্র স্তর থেকে প্রায় ৩,৭০০ মিটার উঁচুতে থাকা এই স্থানটিতে চিত্রল থেকে লাগে প্রায় ৯ ঘণ্টা। গিলগিট দিয়ে গেলে দরকার হয় ১৩ ঘণ্টা। ছয়টি অশ্বারোহী দল নিয়ে হয় আসরটি। সেই ১৯৩৬ সাল থেকে হয়ে আসছে এই টুর্নামেন্ট। যাতায়াত পথ বেশ দুর্গম। কিন্তু তবুও দর্শকের অভাব হয় না। এমনকি প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রীরা পর্যন্ত হাজির হন মনোমুগ্ধকর এই প্রদর্শনী দেখতে।
হাপুতালে (শ্রীলঙ্কা)
সকালের মিঠে আলোতে শ্রীলঙ্কার হাপুতালে নগরী দেখেছেন? ১,৫৭৯ মিটার উঁচুতে থাকা নগরীটি শ্রীলঙ্কার মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত। ব্রিটিশ আমলের ছোঁয়া এখনো সজীব আছে এখানে। নগরীর চারপাশে আছে চা-বাগান। উল্লেখযোগ্য চা-বাগান হলো ডামবাতিন টি এস্টেট। এখনো এখানে ভিক্টোরিয়ান আমলের মেশিন দিয়ে চা পাতা প্রক্রিয়াকরণ করা হয়।
অনুবাদঃমোহাম্মদ হাসান শরীফ

No comments

Powered by Blogger.