চন্দরনগরে ফরাসী পুনর্নির্মাণ মিশনের কাজ শুরু by সুদেশনা ব্যানার্জি

সাউথ এশিয়ান মনিটর, জুন ১২, ২০১৯: ফরাসী একটি দল শুক্রবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চন্দরনগর সফর করে সেখানকার রেজিস্ট্রি অফিসটি পুনরায় চালুর প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। এই অফিসটি একসময় একটি ফরাসি আদালতকক্ষ ছিল যেটা বহুদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে।
ফরাসী পক্ষের এটা প্রথম সফর। ফরাসী সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল হার্ভি বার্বারেটের নেতৃত্বে এই প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। এর আগে ফ্রান্স ও বাংলার মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় যে সাবেক ফরাসি কলোনি চন্দরনগরের ঐতিহ্যগুলো পুনরুজ্জীবিত করার জন্য যৌথ প্রচেষ্টা নেয়া হবে।
চন্দরনগরে ফরাসী সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল হার্ভি বার্বারেট
বার্বারেট মেট্রোকে জানান, “ভবিষ্যতে মন্ত্রী পর্যায়ের সফরের প্রস্তুতি হিসেবে এটা একটা তথ্য সন্ধানী মিশন। চন্দরনগর একটা সুন্দর জায়গা যেটার একটা শক্তিশালী ঐতিহাসিক ঐতিহ্য রয়েছে”। মন্ত্রণালয়ের ইউরোপিয়ান ও আন্তর্জাতিক বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর ফ্রাঁসোয়া লরেন্টকে সাথে পাঁচ দিনের সফরে আছেন বার্বারেট।
টিমে আরও আছেন কলকাতার নিযুক্ত ফ্রান্সের কনসাল জেনারেল ভার্জিনি কোর্টেভাল এবং অলিয়েস ফ্রসেসের ডিরেক্টর ফেব্রিস প্ল্যাঙ্কন, দূতাবাসের কালচারাল অ্যাটাশে অ্যালিস ব্রুনোট ও কনস্যুলেটের প্রেস অ্যাটাশে অঞ্জিতা রায় চৌধুরী।
তাদের সাথে ছিলেন দুজন কনজার্ভেশান স্থপতি যারা রেজিস্ট্রি অফিস পুনর্নির্মাণ প্রকল্পে ফরাসি টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সমঝোতা স্মারকের অংশ হিসেবে, ফরাসীদের এখানে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়ার কথা রয়েছে।
রাফায়েল গান্তেবোইস তিন বছর ধরে সরকারকে পন্ডিচেরির বিষয়ে উপদেষ্টা হিসেবে পরামর্শ দিচ্ছেন, যাকে নিয়োগ দিয়েছে ফরাসী সরকার। স্মার্ট সিটি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ প্রকল্পে কাজ করছেন তিনি। অন্যদিকে শহরে ঐতিহাসিক অবকাঠামোগুলো চিহ্নিত করার কাজ করছেন ঐশ্বরিয়া টিপনিস। স্থানীয় সম্প্রদায়ের সূত্রে রেজিস্ট্রি অফিসটি পুনরায় ব্যবহারের বিষয়টি তাদের নজরে আসে।
পুনর্নির্মাণ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলছেন কনজার্ভেশান স্থপতি রাফায়েল গান্তেবোইস ঐশ্বরিয়া টিপনিস
দুজনে এরপর ভবনটি পরিদর্শন করেন, এর বর্তমান কাঠামোগত অবস্থা যাচাই করেন এবং এর ভিত্তিতে রাজ্য সরকারের কাছে একটি রিপোর্ট দেন। টিপনিস বলেন, “প্রকল্পের ব্যাপারে বিস্তারিত পরিকল্পনা করতে সময় লাগবে। তাছাড়া আসন্ন বর্ষা মওসুমে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে জরুরি মেরামতের প্রয়োজন রয়েছে ভবনের”।
গাস্তেবোইস আরও বলেন, “পুনরায় মেরামত শুরুর আগে ভবনের বেশ কিছু প্রস্তুতির বিষয় রয়েছে। কিছু অংশের অবস্থা নাজুক এবং সেগুলো ভেঙে ফেলতে হবে। যতটা পারা যায় আমরা রক্ষার চেষ্টা করছি যাতে বিদ্যমান ঐতিহ্যের অংশগুলোকে যতটা পারা যায় ব্যবহার করা যায়”।

No comments

Powered by Blogger.