গোয়েন্দা জালে ধরা পড়লো সিলেটের লাবনি ও রুমি by ওয়েছ খছরু

সিলেটের লাবনি ও রুমির ইয়াবার কারবার ধরা পড়লো গোয়েন্দা জালে। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে সিলেটে ইয়াবা বিক্রি করছিল তারা। এর মধ্যে লাবনি আক্তার নদী ফেরি করে ইয়াবা বিক্রি করতো। আর রুমি আক্তার শহরতলির বালুচরে নিজ বাসাতেই ব্যবসা করতো। তাদের কাস্টমার ছিল যুবকরা। ফোন দিলেই তারা পৌঁছে দিতো ইয়াবা। এমনকি বেশ কয়েকটি অপরাধ আস্তানায়ও তারা ইয়াবা পৌঁছে দিতো। গতকাল মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তারা ইয়াবা বিক্রির কথা স্বীকার করেছে।
লাবনী আক্তার নদী। বয়স ২২ কিংবা ২৩ বছর। এরই মধ্যে ইয়াবা ব্যবসায় সিলেটে পটু সে। বসবাস করে শাহপরাণ এলাকার উত্তর বালুচরের ব্লক-এ এর ৪৬ নম্বর বাসায়। তার মূল বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনা থানার বাদলা গ্রামে। তার পিতা আব্দুল জব্বার।
লাবনী আক্তার নদী সিলেটের ইয়াবার হাটে পরিচিত নাম। বোরকা পরা ওই তরুণী ফেরি করে ইয়াবা বিক্রি করে। যাতায়াত রয়েছে অপরাধ আস্তানাগুলোতে। সেসব এলাকায় সে ইয়াবার চালান পৌঁছে দেয়। গতকাল মহানগর  গোয়েন্দা পুলিশের কাছে তথ্য আসে লাবনীর অবস্থানের। এ সময় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এডিসি সুদীপ দাশের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালায়। স্পট ছিল নগরীর উপ-শহরের স্প্রিন টাওয়ারের পাশের খেলার মাঠের রাস্তায়। পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে লাবনী আক্তার নদীকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় নদীর কাছ থেকে ৫০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। গ্রেপ্তারের পর সে নিজেকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে স্বীকার করে। দীর্ঘদিন নগরীতে ব্যবসা চালিয়ে আসছে বলে জানায়।
জিজ্ঞাসাবাদে লাবনী আরেক সহযোগীর নাম বলে। তার সহযোগী হচ্ছে আরেক নারী। নাম রুমি বেগম। সে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের জিয়া উদ্দিনের স্ত্রী। রুমি বেগম দীর্ঘদিন উত্তর বালুচর এলাকার মছব্বির চেয়ারম্যানের বাসায় ভাড়াটে হিসেবে বসবাস করছে। তার সন্ধান পাওয়ার পর পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিজ বাসা থেকে রুমি বেগমকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তারা রুমির কাছ থেকে ৫০ পিস ইয়াবা জব্দ করে। গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, রুমি আক্তারের নির্দেশনায় চলতো লাবনী। রুমি তার সহযোগী লাবনীকে ইয়াবা দিয়ে ফেরি করে বেড়াতো। অর্ডার পেয়ে বিভিন্ন খুচরা বিক্রেতার কাছে তারা ইয়াবা পাঠাতো।
এদিকে, ইয়াবা বিক্রেতা লাবনী ও রুমি গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাদের ইয়াবা বিক্রির সহযোগীরা গা ঢাকা দিয়েছে। তবে, পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার দুই জন আরো কয়েকজনের নাম বলেছে। পুলিশ ওই তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করছে। সিলেট মহানগর পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) জেদান আল মুছা জানিয়েছেন, তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে উত্তর বালুচরস্থ মছব্বির চেয়াম্যানের বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে অবস্থান করে সিলেট শহরের বিভিন্ন স্থানে মাদকসেবীদের কাছে বিশেষ কৌশলে ইয়াবা বিক্রি করে আসছিল। আটক মাদক ব্যবসায়ীদের আসামি করে এসআই সারোয়ার হোসেন ভূইয়া শাহপরাণ (রহ.) থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।

No comments

Powered by Blogger.