আসামে সস্তা মদপানে ৮৫ জনের মৃত্যু

ভারতের আসামে অবৈধভাবে উৎপাদিত সস্তা মদ খেয়ে অন্তত ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরো প্রায় সাড়ে ৩০০ মানুষ। চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের শারিরীক অবস্থা ক্রমশ অবনতি হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরো বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। হতাহতদের সবাই চা-শ্রমিক। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি ও এনডিটিভি। বৃহস্পতিবার সেখানকার গোলাঘাট জেলায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। পরে একের পর এক চা-শ্রমিকের মৃত্যু ঘটতে থাকে। বমি ও বুকে ব্যথা নিয়ে দলে দলে তারা হাসপাতালে আসতে থাকেন। হতাহতদের সবাই গোলাঘাট ও জোরহাটের চা বাগানে কাজ করেন।
গোলাঘাট জেলার পুলিশ সুপার পুস্কর সিং বলেন, অবৈধভাবে উৎপাদিত মদ পান করে তার জেলায় ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, তারা সস্তা ‘চোলাই মদ’ পান করেছিলেন। স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় কর্তৃপক্ষ এই মদকে অবৈধ ঘোষনা করেছে। এই মদ পান করে পাশ্ববর্তী জেলাতেও ১ ডজনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। গোলাঘাটের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার রাতুল বরদলই বলেন, বমি, বুকে তীব্র ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বিপুল সংখ্যক মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চিকিৎসাধীন এক চা-শ্রমিক জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সে আধা লিটার মদ কিনে তা পান করে। প্রথমে সবকিছু ঠিকই ছিল। কিন্তু কিছু সময় পরে সে মাথা-ব্যথা অনুভব করতে থাকে। তার মাথায় এত তীব্র যন্ত্রণা হতে থাকে যে কোন কিছু খেতে বা ঘুমাতে পারছিল না।
অস্থির অবস্থায় রাত কাটে তার। সকালে বুকে ব্যথা শুরু হয়। পরে স্ত্রী তাকে চা-বাগানের হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে তাকে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অবৈধভাবে উৎপাদিত মদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা ভারতে খুবই সাধারণ একটি বিষয়। দু’সপ্তাহ আগে, উত্তর উত্তর প্রদেশেও অবৈধ মদপানের কারণে প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদের তুলনায় অবৈধ এসব মদের দাম বেশ সস্তা। প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে এগুলো খুবই সহজলভ্য।
আসামের ঘটনা তদন্ত করতে একটি অনুসন্ধানী কমিশন গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, অবৈধভাবে উৎপাদিত মদ বিক্রির দায়ে তারা এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছেন।

No comments

Powered by Blogger.