যুক্তরাষ্ট্রে হামলা হলে জাপানিরা বসে ‘সনি টিভি’ দেখবে : ট্রাম্প

এবার জাপানের ওপর ক্ষেপেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের জাপাননীতির সমালোচনা করে বলেছেন, তারা শুধু সুবিধা নেয়, বিনিময়ে কিছু দেয় না। ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে যদি কখনও হামলা হয়, জাপানিরা তখন ঘরে বসে সনি টিভি দেখবে। শুক্রবার আইওয়া অঙ্গরাজ্যে এক জনসভায় বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন। খবর বিবিসি ও এএফপির। ট্রাম্প তার বক্তৃতায় ন্যাটোভুক্ত সেসব দেশের সমালোচনা করেন, যারা তাদের অতিরিক্ত সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও সে অনুপাতে উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোটে (ন্যাটো) আর্থিক অনুদান দেয় না। এছাড়া জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলো যারা যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া নিরাপত্তা সুবিধা ভোগ করছে কিন্তু বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রকে কোনো আর্থিক সুবিধা দিচ্ছে না, তাদেরও সমালোচনা করেন তিনি। জাপান এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্র দেশ এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। ট্রাম্পের মতে, আমেরিকা-জাপানের মিত্রতা খুবই উপহাসের বিষয়। ট্রাম্প বলেন, ‘আপনারা জানেন, জাপানের সঙ্গে আমাদের চুক্তি রয়েছে- যদি তারা আক্রান্ত হয়,
তাহলে তাদের রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্ণ শক্তি ব্যয় করতে হবে। কিন্তু আমরা যদি আক্রান্ত হই, জাপানকে কিছুই করতে হবে না। তারা বাসায় বসে থাকতে পারবে এবং বসে বসে সনি টেলিভিশন দেখবে।’ তিনি বলেন, ‘জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশকে যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। কিন্তু এর বিনিময়ে তারা কিছুই দেয় না। তাদের এর বিনিময় দিতে হবে। কারণ এখন আর ৪০ বছর আগের সময় নেই।’ প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়। এর আওতায় জাপানে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। ট্রাম্প বলেন, ‘দ্বীপ রাষ্ট্রটিকে রক্ষার কাজে নিয়োজিত মার্কিন সেনাদের পুরো খরচ জোরপূর্বক জাপানের কাছ থেকে নেয়া উচিত। তারা বর্তমানে ৫০ শতাংশ ব্যয় বহন করছে। ‘ট্রাম্প জানান, আমাদের উচিত তাদের নিরাপত্তা দেয়া বন্ধ করা। আর সেটা করা না হলেও কমপক্ষে তাদের এটা বন্ধ করে দেয়ার ভয় দেখানো উচিত। অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের ঘোষণা : রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার তার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের ঘোষণা দিয়েছেন। এ পরিষদের অনেকেই ইতিমধ্যে তার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশও নিচ্ছেন।
বার্তা সংস্থা এপি জানায়, এই পরিষদে মার্কিন ধনকুবের জন পলসন, নির্বাচনী পরিচালক স্টিফেন মিলার, নিউইয়র্কের বিনিয়োগকারী স্টিভেন নুচেন, সিনেট বাজেট কমিটির সাবেক সদস্য ড্যান কাউলাস্কিসহ মার্কিন অর্থনীতি ও রাজনীতিতে প্রভাবশালীরা অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। তবে লক্ষ্যণীয়, ট্রাম্পের এই পরিষদে কোনো নারী অন্তর্ভুক্ত হননি। সোমবার ডেট্রয়েটে রিপাবলিকান দলের এই প্রার্থী মার্কিন অর্থনীতি বিষয়ে তার বক্তব্য রাখবেন। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ট্রাম্পের অর্থনৈতিক প্রস্তাবনার বিষয়ে সমালোচনা করেছেন। মিডিয়া অসৎ : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী সমাবেশ থেকে একটি শিশুকে বাইরে নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে তার করা কৌতুক বিকৃত করায় তিনি মিডিয়াকে অসৎ বলে বর্ণনা করেন। মঙ্গলবার ভার্জিনিয়ার লাউডন কাউন্টিতে নির্বাচনী সমাবেশে একটি শিশু কাঁদছিল। ট্রাম্প বলেন, প্রথমবার আমি শিশুর মাকে বললাম দুশ্চিন্তার কিছু নেই। শিশুটি এখানেই থাক। কিন্তু দু’মিনিট পরেই আমি আবার বললাম, হাহ্ বাচ্চাটি খুব সুন্দর।

No comments

Powered by Blogger.