মতলুব আলী শুধুই শিল্পী

শিল্পী মতলুব আলীর ৭০তম জন্মবা​র্ষিকী উদ্‌যাপন
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছেন ড. আনিসুজ্জামান
হাজার তিনেক ছবি এঁকেও মতলুব আলী থামেননি। নাটক, উপন্যাস, গান লিখেছেন। সুরও দিয়েছেন অনেকগুলো গানে। তাঁর সুর, বাবা মো. খেরাজ আলীর কথা ও মেয়ে পুষ্পিতার কণ্ঠে একটি গানের সঙ্গে নাচ দিয়ে শুরু হয় মতলুবের একাত্তর উদ্যাপন। গতকাল রোববার ৭০ বছর শেষ করে ৭১-এ পা দিলেন শিল্পী মতলুব আলী। সন্ধ্যায় ছায়ানটের রমেশচন্দ্র দত্ত স্মৃতি মিলনকেন্দ্রে আয়োজন করা হয়েছিল তাঁর জন্মদিনের। এসেছিলেন ছাত্র, সহকর্মী, বন্ধু ও শুভার্থীরা। তাঁর লেখা গান শুনিয়েছেন দীনা, মুনমুন, অনন্যা, শতাব্দী, হৃত্বিকসহ আরও কজন। জন্মদিনের এই আয়োজনে সহকর্মী ও বন্ধু অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, ‘একসময় ভাবতাম ৭০ অনেক বয়স। যখন নিজে আশি ছুঁই ছুঁই, তখন বুঝতে পারি ৭০ তেমন বয়স না। তিনি দীর্ঘজীবী হোন।’ এই আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্পী আবদুস শাকুর শাহ, রেজাউল করিম, আবদুল মান্নান। স্বামী ও বন্ধুকে বিশেষভাবে শুভেচ্ছা জানান গিটারশিল্পী রেহানা সুলতানা। শিল্পী বলেন, ‘কোনো নির্দিষ্ট শিল্পে স্থির না হয়ে নিজেকে ছড়িয়ে দিয়েছি। গীতিকার হওয়ার জন্য আমি গান লিখি না। এগুলোকে পেশা হিসেবে নিইনি বলেই এত কিছু করতে পেরেছি। তবু বন্ধুরা বলে, আমি নাকি খুব বেশি আঁকিনি!’ শিল্পাচার্যের মৃত্যুর পর থেকে তাঁকে নিয়ে গবেষণা করছেন মতলুব আলী। বেরিয়েছে শিল্পাচার্যকে নিয়ে লেখা বেশ কয়েকটি বই। মতলুবের জন্মদিনের এই আয়োজনটি করেছে মানব শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি গোষ্ঠী ও ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী।

No comments

Powered by Blogger.