২৫ অক্টোবরের পর দেশে কী হবে? by বিভুরঞ্জন সরকার

২৫ অক্টোবরের পর দেশের পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে তা নিয়ে যখন মানুষের মধ্যে জল্পনা-কল্পনা চলছে তখন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহছানুল হক মিলন দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, ২৬ অক্টোবর থেকে দেশ চলবে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার নির্দেশে। খালেদা জিয়ার নির্দেশে দেশ চললেই যেন রাজনীতিতে আর কোনো সংকট-সমস্যা থাকবে না, মানুষের জীবনেও আর কোনো দুঃখ-কষ্ট থাকবে না। প্রশ্ন হচ্ছে, মিলন সাহেব এই ভবিষ্যদ্বাণী করলেন কিসের ভিত্তিতে? খালেদা জিয়া নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন বলেই কি মিলন সাহেবের মনে হয়েছে যে, ২৬ অক্টোবর থেকে দেশ তার নেত্রীর নির্দেশেই চলবে? খালেদা জিয়ার কথায় তার সমর্থকরা যতটা আস্থা-ভরসা রাখতে পারেন, সাধারণ মানুষ কি তা পারেন? বর্তমান সরকার নির্বাচিত হয়ে শাসনভার গ্রহণ করার পর থেকেই খালেদা জিয়া সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার কথা বলে আসছেন। শুধু তাই নয়, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হওয়ার পর থেকে খালেদা জিয়া ওই সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন করে আসছেন। ২০১২ সালের ১২ মার্চ ঢাকার এক জনসভা থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানতে সরকারকে ৯০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সরকার ৯০ দিনের মধ্যে দাবি মানেনি। এরপর ১১ জুন আরেক সমাবেশ থেকে খালেদা জিয়া কোনো তারিখ উল্লেখ না করে ঈদুল ফিতর পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন সরকারকে। ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা চলে গেলেও সরকার দাবি মানেনি, খালেদা জিয়াও আন্দোলন করে সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করতে পারেননি। সর্বশেষ চলতি বছরের ৪ মে মতিঝিল শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশ থেকে খালেদা জিয়া সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে বলেছিলেন, ওই সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে সরকার পালানোর পথ পাবে না। সরকার খালেদা জিয়ার বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে দাবিও মানেনি, পালানোর পথও খোঁজেনি। তাই এখন খালেদা জিয়া ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত যে সময় বেঁধে দিয়েছেন তার মধ্যে সরকার দাবি না মানলে আন্দোলন করে সরকারকে পরাস্ত করা সম্ভব হবে কি-না, সে ব্যাপারে মানুষের মধ্যে সংশয় রয়েছে। আন্দোলন করে দাবি আদায়ের কোনো রেকর্ড বিএনপির নেই। তবে আন্দোলনের নামে দেশজুড়ে ব্যাপক সন্ত্রাস-সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশংকা করছেন অনেকেই। বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে আছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি জামায়াতে ইসলামী। মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত দলীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে জামায়াত-শিবির সারাদেশে বেপরোয়া হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। ২৫ অক্টোবরের পর নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিএনপির আন্দোলনের সঙ্গে জামায়াত-শিবির এমনকি হেফাজতে ইসলাম যুক্ত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাবে কিনা সেই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠছে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া রংপুরের জনসভায় বলেছেন, ‘ভোট চাইতে নয়, ভোট রুখতে এসেছি’। তার কথার জবাব দিয়ে সিলেটের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন রেখেছেন, ‘তিনি ভোট চান না, নির্বাচন চান না। তাহলে কী চান? অরাজকতা, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি?’ প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গেই বলেছেন, যে কোনো মূল্যে যথাসময়ে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি নেত্রীর সাধ্য নেই এই নির্বাচন বানচাল করার।
দুই নেত্রীর অনড় অবস্থানের পরিণতি কী সেটা কেউ বলতে পারে না। তবে এতে যে দেশের রাজনীতি ও মানুষের কোনো মঙ্গল হবে না সেটা বলা যায় জোর দিয়েই। জেদাজেদির রাজনীতিতে সাধারণ মানুষের কল্যাণের কিছু থাকে না। অথচ জনগণের কল্যাণ করাই ছিল একসময় রাজনীতি, রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দলের একমাত্র লক্ষ্য। মানুষের ভালো করার জন্য, সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা-দুর্ভোগ লাঘব করাই ছিল রাজনৈতিক দল ও রাজনীতিবিদদের প্রধান উদ্দেশ্য। মানুষের জন্য রাজনীতি করে বছরের পর বছর কারাগারে কাটিয়ে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় উৎসর্গ করে মানুষের কাছে শ্রদ্ধাভাজন হয়েছেন, মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন- এমন রাজনীতিবিদ আমাদের দেশে সংখ্যায় দু-চারজন নন, অসংখ্য ছিলেন। রাজনীতি করতে গিয়ে শুধু জীবনের মূল্যবান সময় নয়, সহায়-সম্পদও হারিয়েছেন, নিঃস্ব হয়েছেন এমন রাজনীতিবিদও আমাদের দেশে কম ছিলেন না। নীতিবোধ, আদর্শবোধ, ন্যায়পরায়ণতা, ইনসাফ প্রতিষ্ঠা- এসব ছিল রাজনীতির বৈশিষ্ট্য। কিন্তু এখন দিন বদলেছে, সময় বদলেছে। রাজনীতি এখন সাধারণ মানুষের স্বার্থের চেয়ে ব্যক্তিস্বার্থেই বেশি পরিচালিত হচ্ছে। রাজনীতি এখন লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। কম বিনিয়োগে বেশি মুনাফা অর্জনের অন্যতম পথ হল এখন রাজনীতি। আগে রাজনীতিবিদরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে দল চালাতেন, কিন্তু রাজনৈতিক দলের নিয়ন্ত্রণটা রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকত। এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। এখন ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক দল ও রাজনীতিবিদদের যেমন চাঁদা দেন, তেমনি নিজেরা সরাসরি রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে, নেতা হয়ে, এমপি হয়ে, মন্ত্রী হয়ে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করেন। ফলে সাধারণ মানুষের কল্যাণ নয়, ব্যবসায়ী এবং স্বার্থবাদী মহলের স্বার্থেই মূলত চালিত হচ্ছে রাজনীতি।
রাজনীতির এই যে প্রবণতা বা বৈশিষ্ট্য তার প্রতিফলন দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির রাজনীতিতেও দেখা যায়। গণস্বার্থ সংরক্ষণে এই দুই দল কতটুকু আন্তরিক এবং সোচ্চার সে বিষয়ে বিতর্কের সুযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরনো এবং ঐতিহ্যবাহী দল। এ বছর ২৩ জুন এই দলের বয়স ৬৪ বছর পূর্ণ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া এই দল। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মতো খ্যাতিমান রাজনীতিবিদরা এই দলের গোড়াপত্তন করেছিলেন দেশের একেবারে সাধারণ মানুষের স্বার্থের অনুকূলে রাজনীতিকে পরিচালিত করার লক্ষ্যে। পাকিস্তানের সামরিক-বেসামরিক গণস্বার্থবিরোধী স্বেচ্ছাচারী-স্বৈরাচারী শাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে এই দল। এই দলের নেতৃত্বেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় নিশ্চিত করেছেন। পাকিস্তানের সামরিক শক্তির বিরুদ্ধে একাত্তরের নয় মাসের অসম যুদ্ধে বাঙালি জাতির বিজয়ের সঙ্গে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নাম অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক শক্তির উৎস সাধারণ মানুষ। কৃষক-শ্রমিক-মুটে-মজুর-জেলে-তাঁতি-কামার-কুমার-মাঝি- নিু আয়ের মানুষই আওয়ামী লীগের প্রাণ। ফলে গণস্বার্থেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি পরিচালিত হবে- এটাই স্বাভাবিক।
অন্যদিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির জন্ম সেনাছাউনিতে। সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান তার শাসনের গায়ে বেসামরিক লেবাস পরানোর জন্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে জন্ম দিয়েছিলেন বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটির। রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতিকে ‘ডিফিকাল্ট’ করার ঘোষণা দিয়েই যাত্রা শুরু করেছিলেন জিয়াউর রহমান। জিয়ার দলে শুরুতেই যোগ দিয়েছিলেন দলছুট, সুবিধাবাদী, উচ্ছিষ্টভোগী, সুযোগসন্ধানী এক দল মানুষ, যাদের কাছে গণস্বার্থের চেয়ে ব্যক্তিস্বার্থই ছিল মুখ্য। বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটির প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশের রাজনীতি কেনাবেচার পণ্যে পরিণত হয়। রাজনীতির নামে, জনগণের কল্যাণের নামে বিশেষ বিশেষ শ্রেণী ও গোষ্ঠীর স্বার্থে সব নীতিনিয়ম চালু হতে থাকে। রাজনীতির ধারায় নষ্ট স্রোত প্রবাহিত হতে থাকে, যা এখন ব্যাপ্তি লাভ করেছে। রাজনীতিতে সাধারণ মানুষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো বিষয় এখন আর আলোচনায় নেই। বিএনপির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে আওয়ামী লীগও তার অতীত ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। এমনই দুর্ভাগ্য যে, দেশের মানুষ আর বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগকে আলাদাভাবে চিনতে পারে না। দুই দলকে অনেকেই এখন মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ বলে উল্লেখ করে থাকেন। সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম আওয়ামী লীগকে দেশের জন্য ‘আপদ’ এবং বিএনপিকে ‘বিপদ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তার এই ব্যাখ্যার সঙ্গে কেউ হয়তো একমত পোষণ করতে না পারেন কিন্তু অস্বীকার করতে পারবেন না। আওয়ামী লীগকে আগে কৃষক-শ্রমিক-সাধারণ মানুষের দল বলে মনে করা হতো। এখন আওয়ামী লীগের গায়েও ভদ্রলোকের হাওয়া। গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে পালাক্রমে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ দেশ শাসন করে আসছে, কখনও এককভাবে, কখনও জোটবদ্ধভাবে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে তখন তারা শাসক দলে পরিণত হয়। আবার আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকে তখন তারা হয় শাসক দল। আর শাসক দল মানেই জনবিচ্ছিন্নতা, গণস্বার্থপরিপন্থী কাজে বেশি উৎসাহ। তবে বিরোধী দলে থাকলেও এই দুই দল জনগণকে নিয়ে খুব ভাবনা-চিন্তা করে বলে মনে হয় না। নেতানেত্রীদের বক্তৃতায় অবশ্য ‘জনগণ’, ‘সাধারণ মানুষ’- এসব শব্দ উচ্চারিত হয় প্রায়ই, কিন্তু তা ওই বক্তৃতাতেই সীমাবদ্ধ। উদাহরণ হিসেবে বিএনপির কথাই ধরা যাক। এই দলটি গত মেয়াদে শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিল। অবশ্যই এককভাবে নয়। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করেছিল। জামায়াত মুক্তিযুদ্ধবিরোধী দল। তারা গণতন্ত্রেরও পরিপন্থী, যদিও প্রকাশ্যে তারা গণতন্ত্রী সেজেই রাজনীতি করে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে রাজনীতি করছে। জামায়াতের মতো একটি গণবিরোধী, ধর্মাশ্রয়ী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটগতভাবে অগ্রসর হয়ে বিএনপি গণস্বার্থে কাজ করবে, এটা আশা করা যেতে পারে, তবে সে আশা পূরণ হওয়ার নয়। বিএনপি-জামায়াত জোট শাসনে দেশের মানুষ যে ভালো ছিল না, তাদের কোনো স্বার্থ রক্ষায় যে সরকার এগিয়ে আসেনি সেটা কারও অজানা নয়। বরং কৃষক ন্যায্যমূল্যে সার চাইতে গিয়ে গুলি খেয়ে জীবন দিয়েছে। ফসলের মাঠে পানি সেচের জন্য বিদ্যুৎ চাইতে গিয়েও বিদ্যুতের বদলে পেয়েছে গুলি বর্তমানে বিএনপি বিরোধী দলে, এখন তারা শাসক দল নয়। বিরোধী দলে থেকেও কি এই দল গণস্বার্থ সংরক্ষণে কোনো ভূমিকা রাখছে বা কাজ করছে? বিরোধী দল হরতালসহ যেসব কর্মসূচি পালন করে তার মধ্যে গণস্বার্থ সংরক্ষণের কোনো উপাদান খুঁজে পাওয়া যায় কি? বরং হরতালসহ সন্ত্রাসী কর্মসূচির মাধ্যমে গণস্বার্থ উপেক্ষিত হয়ে থাকে চরমভাবে। হরতাল মানেই ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, মৃত্যু, গণদুর্ভোগ। সাধারণ মানুষের জীবন থেকে শান্তি-সুখ-স্বস্তি-আনন্দ কেড়ে নেয়ার জন্য সংঘাত-সংঘর্ষের রাজনীতিকে দায়ী না করে উপায় নেই। প্রশ্ন হল, সংঘাতের রাজনীতি কিংবা হিংসা-প্রতিহিংসার রাজনীতি কি কেবল বিএনপিই করছে? আওয়ামী লীগ কি ধোয়া তুলসীপাতা? হিংসা থাকলে, প্রতিহিংসা থাকবেই। হিংসা দূর না করে প্রতিহিংসা দূর করার চেষ্টাও ব্যর্থ হতে বাধ্য। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো, বিশেষত আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যখন হিংসা-প্রতিহিংসার পথ ছেড়ে আলাপ-আলোচনা ও সমঝোতার পথে এগোতে থাকবে তখনই কেবল সম্ভব হবে নতুন রাজনীতির দিকে এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু রাজনীতিকে নতুন ধারায় এগিয়ে নেয়ার আগ্রহ প্রধান দুটি দলের আছে বলে মনে হয় না। নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে যে বিতর্ক সেটাও প্রচলিত ক্ষমতা ও স্বার্থের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বেরই প্রতিফলন।
বিভুরঞ্জন সরকার : সাংবাদিক ও কলাম লেখক

No comments

Powered by Blogger.