হত্যার উসকানির অভিযোগে কাঠগড়ায় মুরসি

হত্যা ও সহিংসতা উস্কে দেয়ার অভিযোগে মিসরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসিকে বিচারের মুখোমুখি করছে দেশটির সেনা সমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকার। তবে কবে থেকে তার বিচার শুরু হচ্ছে তা জানানো হয়নি। উল্লেখ্য, একই অভিযোগে মুসলিম ব্রাদারহুডের আরও ১৪ জন শীর্ষ নেতাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সোমবার আল জাজিরা এ খবর জানায়।
এর পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার করার জন্য ইসলামপন্থী সদস্যদের প্রায় বাদ দিয়ে একটি সাংবিধানিক পরিষদ গঠন করেছে সরকার। কাজ শেষ করতে পরিষদকে ৬০ দিন সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, ২০১২ সালের ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের সামনে সাবেক প্রেসিডেন্টের সমর্থকদের সঙ্গে সরকার বিরোধীদের প্রাণঘাতী সংঘাতের দায়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট মুরসিকে তার মুসলিম ব্রাদারহুডের অপর ১৪ সহযোগীসহ ‘হত্যা ও সহিংসতা উস্কে দেয়ার’ অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এর আগে ২০১১ সালে জেল ভেঙে পালানোর দায়ে তাকে অভিযুক্ত করা হয়। ৩ জুলাই মিসরের ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী। এরপর থেকে অজ্ঞাত একটি স্থানে তাকে আটক করে রাখা হয়েছে। মুরসির পাশাপাশি তার যেসব সহযোগীকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে তাদের মধ্যে ব্রাদারহুডের জ্যেষ্ঠ নেতা মোহাম্মদ আল বেলতাগি এবং ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক শাখা ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টির উপপ্রধান এসাম এল এরিয়ান রয়েছেন। গত ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট মুরসির ক্ষমতা বৃদ্ধি করে জারি করা একটি প্রেসিডেন্সিয়াল ডিক্রি ও ইসলামপন্থীদের তৈরি করা সংবিধানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে কয়েক হাজার মুরসিবিরোধী কায়রোর প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের সামনে জড়ো হয়।

No comments

Powered by Blogger.