প্রায় চুপিসারে বিদায় কেরির

এত লম্বা ফর্দ হাতে ভারতে এসে প্রায় চুপিসারে যুক্তরাষ্ট্রের শেষ কোন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিদায় নিয়েছেন, তা নিয়ে গবেষণা হতে পারে। জন কেরির তিন দিনের ভারত সফর সেদিক থেকে অনন্য। সিনেটর হিসেবে যে চুক্তির অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রথম ভারত সফরে সেই পরমাণু চুক্তিকে পূর্ণতা দিতে না পারাটাও এ কারণে উল্লেখযোগ্য হয়ে থাকছে। মার্কিন মুলুকের কারও সফর নিয়ে ভারতের মিডিয়ার এমন প্রায় নিরুত্তেজ অবস্থা সাম্প্রতিক অতীতে দেখা যায়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, ভারতের প্রত্যাশা আহামরি কিছু ছিলও না। সম্পর্কে শৈত্য এসেছে, এমন অবশ্যই নয়; কিন্তু এটুকু হয়তো বলা যায়, ভারত-মার্কিন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উষ্ণতার আঁচ পেতে অপেক্ষা করতে হবে জুলাই মাসের শেষ দিক পর্যন্ত। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তখন ভারতে আসবেন। আবার ওই মাসেই সে দেশে যাবেন ভারতের অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম ও বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা। তারও দুই মাস পরে সেপ্টেম্বরে যাবেন মনমোহন সিং। কেরির এই প্রায় নির্জীব সফরের প্রধান কারণ যদি হয় ভারতীয় গণতন্ত্রের নির্বাচনী ‘মোড’-এ চলে যাওয়া, দ্বিতীয় কারণটি হবে আফগানিস্তানে শান্তি আনতে তালেবানকে ‘তোল্লা দেওয়ার’ মার্কিন অভিপ্রায়। বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে এখন যারা দিন-রাত লেগে রয়েছে, এই গোলার্ধে তাদের মধ্যে ভারত এক নম্বরে। সেই ভারত ও তার স্বার্থকে উপেক্ষা করে তালেবানের সঙ্গে সংলাপে মার্কিন আগ্রহ ভারত ভালোভাবে নেয়নি।

No comments

Powered by Blogger.