জাল জালিয়াতি করে দীর্ঘ এক যুগ বিমান ব্যবসা চালিয়েছে জিএমজি

আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল সংস্থা আইকাওর কোড নম্বর জাল-জালিয়াতি করে এবং ভুয়া কোডে দীর্ঘ ১২ বছর আন্তর্জাতিক রুটে এয়ারলাইন্স ব্যবসা চালিয়েছে জিএমজি। খোদ দেশের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষও দীর্ঘ এক যুগ তাদের এই জাল-জালিয়াতি ধরতে পারেনি। শুধু তাই নয়, এয়ারলাইন্স ব্যবসা চালাতে গিয়ে জিএমজি এয়ারলাইন্স কোন ধরনের আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি মানত না। শেষ পর্যন্ত তাদের এই জাল-জালিয়াতি ধরা পড়ে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) গোপন অনুসন্ধানে। আর তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে আইকাও বাংলাদেশের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে কালো তালিকাভুক্ত করে। সিভিল এভিয়েশনের একজন কর্মকর্তা জানান, শুধু জিএমজি এয়ারলাইন্সের অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশনকে সিগনিফিকেন্ট সেফটি কনসার্নের (এসএসসি) খাতায় তালিকাভুক্ত থাকতে হয়েছে। আর এই তালিকাভুক্ত হওয়ার কারণে ৫ বছর ধরে বাংলাদেশের কোন বিমান সংস্থাকে আন্তর্জাতিক রুটে নতুন করে ফ্লাইট চালানোর অনুমতি দেয়নি আইকাও। একই সঙ্গে নতুন কোন উড়োজাহাজ সংস্থাকে আন্তর্জাতিক রুট খুলতে অনুমতি দেয়া হয়নি। একই অভিযোগে আইকাওকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন এজেন্সিও বাংলাদেশ বিমানের ঢাকা-নিউইয়র্ক রুট পরিচালনা বাতিল করে দেয়। এসব কারণে সিভিল এভিয়েশন প্রতি বছর কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। শুধু অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগই নয়, জিএমজির কাছে অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের কোটি কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। বছরের পর বছর দেনদরবার করেও এ টাকা উদ্ধার করতে পারছে না তারা। বর্তমানে জিএমজির কাছে সিভিল এভিয়েশন, বিমান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, জ্বালানি তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন হোটেল রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন সংস্থার সাড়ে ৩শ’ কোটি টাকার বেশি পাওনা রয়েছে। খোদ সিভিল এভিয়েশনের পাওনা টাকার পরিমাণ প্রায় ২শ’ কোটি টাকা। আর যাত্রীদের কাছ থেকে ট্যাক্সের টাকা উঠিয়েও সে টাকা সরকারের কোষাগারে জমা না দিয়ে সে টাকা দিয়ে ব্যবসা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর পরিমাণও শত কোটি টাকার বেশি। এই টাকা উদ্ধারে সিভিল এভিয়েশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বিমান জিএমজিকে অসংখ্যবার চিঠি দিয়েও কোন ফল পায়নি। প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্র্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৩০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে জিএমজি এয়ারলাইনস। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৫০ টাকা। কিন্তু বাজারে ৯০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোম্পানিটি আর বাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি। তবে এখন আবার নতুন কৌশলে কোম্পানিটিকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জিএমজির বিরুদ্ধে অভিযোগ, উড়োজাহাজ উড্ডয়ন, অবতরণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের যে নিয়মনীতি রয়েছে তাও মানত না জিএমজি কর্তৃপক্ষ। সব ধরনের নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে জিএমজি রানওয়ের ওপর উড়োজাহাজ রেখে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করত। মেরামতের জন্য উড়োজাহাজের ইঞ্জিন বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রেও সিভিল এভিয়েশনের কোন নীতি মানত না। অনুমতি ছাড়া ইঞ্জিন মেরামতের জন্য বিদেশ পাঠানো, সেটা সংযোজন, সিভিল এভিয়েশনের অনুমোদন নেই এ ধরনের কোম্পানির কাছ থেকে ইঞ্জিন মেরামত করানোসহ হেন কোন কাজ ছিল না যা জিএমজি করত না। এ অবস্থায় চলতি বছরের প্রথম দিকে জিএমজির আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইট অপারেশন বন্ধ করে দেয় সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। যদিও জিএমজি বলছে, সিভিল এভিয়েশন নয়, তারা নিজেরাই তাদের অপারেশন বন্ধ করে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন দেশের বিমান বন্দরে জিএমজির জাল-জালিয়াতিসহ ভুয়া কোড নম্বরের কাহিনী সবাই জানে। এ কারণে নতুন করে এই বিমান সংস্থাটি আগামীতে আর কোনদিন অপারেশনে আসতে পারবে কিনা তাতে সন্দেহ রয়েছে। সিভিল এভিয়েশনের একটি সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল নীতিমালা লঙ্ঘন ও জাল-জালিয়াতির ঘটনায় শিগগিরই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে সিভিল এভিয়েশনের ফ্লাইট অপারেশন শাখা। এ কমিটি গত ১০ বছরে জিএমজি কর্তৃপক্ষ উড়োজাহাজ চলাচলে কি ধরনের অনিয়ম করেছে তা খুঁজে বের করবে। যদি জাল-জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে কর্তৃপক্ষ জিএমজির এয়ারওয়ার্দিনেস সার্টিফিকেটও (উড়োজাহাজ চলাচল সংক্রান্ত লাইসেন্স) বাতিল করবে। তাতে নতুন লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত জিএমজি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে আর ফ্লাইট চালাতে পারবে না। যে কোন বিমান সংস্থা আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালাতে হলে তাদের ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইকাও) থেকে একটি কোর্ড নম্বর নিতে হয়। মূলত ওই কোর্ড নম্বরটি দেখে বিশ্বের বিমানবন্দরগুলো ওই সংস্থার ফ্লাইট হ্যান্ডেলিং করে থাকে। বিমানবন্দরগুলোর রাডার স্টেশনেও ওই কোড নম্বরটি ব্যবহার করে উড়োজাহাজকে সংকেত দেয়া হয়। জিএমজির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা এই কোড নম্বরটি ভুয়া জাল-জালিয়াতি করে ব্যবহার করছে। জানা গেছে, বন্ধ হয়ে যাওয়া বিদেশী একটি এয়ারলাইন্সের কোড নম্বর গোপনে ব্যবহার করত জিএমজি। আর এজন্য ওই কোম্পানির কাছ থেকে কোন ধরনের অনুমতি পর্যন্ত তারা নেয়নি, যা আইকাওর আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। বিষয়টি আইকাও টের পেয়ে বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশনকে চিঠি দেয় জিএমজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। কিন্তু ২০১০ সালের মাঝামাঝিতে জিএমজির মালিকানা বদল হয়ে বর্তমান সরকারের একজন প্রভাবশালী নেতার মালিকানায় চলে যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি সিভিল এভিয়েশন। তবে বেশ কয়েকবার চিঠি দিয়ে হুশিয়ার করে দিয়েছিল বেবিচক। তারপরও জিএমজি কর্তৃপক্ষ তাদের ভুয়া কোড পরিচালনা বন্ধ করেনি। যার কারণে আইকাও সিভিল এভিয়েশনকে এক চিঠিতে জানায়, অবিলম্বে জিএমজির অপারেশন বন্ধ না করলে তারা এসএসসি প্রত্যাহারে অডিট করতে বাংলাদেশে আসবে না। এরপর সিভিল এভিয়েশনের নির্দেশে জিএমজি তাদের ফ্লাইট অপারেশন বন্ধ করতে বাধ্য হয়। সিগনিফিকেন্ট সেফটি কনসার্ন প্রত্যাহার সংক্রান্ত শর্ত : সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (আইকাও) শর্ত সাপেক্ষে বাংলাদেশকে দেয়া সিগনিফিকেন্ট সেফটি কনসার্ন প্রত্যাহার করেছে। এর মধ্যে অন্যতম শর্ত হচ্ছে জাল-জালিয়াতি করে উড়োজাহাজ পরিচালনা করার অভিযোগে জিএমজি এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া। সিভিল এভিয়েশনের ফ্লাইট অপারেশন বিভাগের কর্মকর্তা-প্রকৌশলীদের বেতন দেশের প্রচলিত বেতন কাঠামো থেকে সরিয়ে আন্তর্জাতিক মানের করা এবং সিভিল এভিয়েশনের অর্গানোগ্রাম ঠিক করা। আগামী ৬ মাসের মধ্যে এসব শর্ত পূরণ করতে না পারলে আবারও সিভিল এভিয়েশনকে ‘এসএসসি’ তালিকায় রাখা হবে বলে কঠোর হুশিয়ারিও উচ্চারণ করেছে আইকাও। এ অবস্থায় দেশের সিএএবিকে রক্ষা করতে এবং বাংলাদেশ বিমানের ঢাকা-নিউইয়র্ক রুট চালুকরণের স্বার্থে জিএমজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হচ্ছে সিভিল এভিয়েশন। আইকাও তাদের রিপোর্টে বলছে, বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশন জিএমজিসহ ১১টি বেসরকারি এয়ারলাইন্সের লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে কোন ধরনের নিয়মনীতি তোয়াক্কা করেনি। আইকাও নিরীক্ষায় বলা হয়েছে, এসব এয়ারলাইন্সের বেশির ভাগের উড্ডয়ন নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সূক্ষ্ম যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম, রক্ষণাবেক্ষণ, প্রশিক্ষণ, যোগ্য জনবল বা অন্যান্য ব্যবস্থাপনায় মারাÍক ত্র“টি আছে। এর মধ্যে লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে ১২টি পরিচালনার ক্ষেত্রে ৭টিসহ প্রকৌশল, এয়ার নেভিগেশন ও আইন মানার ক্ষেত্রে সিভিল এভিয়েশনের অনেক ত্র“টি চিহ্নিত করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত আইকাও প্রণীত নির্দেশিকাও ঠিকভাবে মানা হয়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। আর এসব দক্ষভাবে পর্যবেক্ষণ, পরিচালনা ও মান উন্নয়নে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের মারাÍক ঘাটতি আছে। আইকাও এ ধরনের নিয়ন্ত্রণকারী লাইসেন্স পাওয়া বিমান সংস্থাকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছে। এর আগে এসএসসি হিসাবে তালিকাভুক্ত হওয়ায় ইন্দোনেশিয়ার গারুদা এয়ারলাইন্সসহ তাদের বিমান সংস্থাকে দীর্ঘদিন ইউরোপের আকাশে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ইন্দোনেশিয়া তাদের ওপর থেকে এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে সমর্থ হয়। একই কারণে পাকিস্তান এয়ারলাইন্সসহ পাকিস্তানের বিমান সংস্থাগুলোকেও এক সময় এ পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছিল। জিএমজির এই জাল-জালিয়াতির কারণে কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার পর বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থা রিজেন্ট এয়ারলাইন্স দীর্ঘদিন আগ থেকে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পচিালনার অনুমতি চেয়ে পায়নি। আইকাও থেকে বলা হয়েছে, আগে জিএমজিসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক তারপর তারা ওই এয়ারলাইন্সকে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালানোর অনুমতি দেবে। প্লেসমেন্টের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ : প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্র্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৩০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে জিএমজি এয়ারলাইন্স। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৫০ টাকা। কিন্তু বাজারে তা ৯০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোম্পানিটি আর বাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি। এখন আবার নতুন কৌশলে কোম্পানিটিকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটির সিংহভাগ মালিকানা বেক্সিমকো গ্র“পের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের। খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বে গঠিত শেয়ারবাজার কারসাজি তদন্ত কমিটির রিপোর্টে এসব তথ্য উঠে এসেছে। জানা গেছে, ২০১০ সালে কোম্পানিটিকে শেয়ারবাজারে তালিকভুক্তির উদ্যোগ নেয়া হয়। তালিকাভুক্তির জন্য বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে জিএমজির প্রতিটি শেয়ারের দাম নির্ধারিত হয় ১৫০ টাকা। অর্থাৎ প্লেসমেন্টে বরাদ্দ কর শেয়ারের চেয়ে বাজারদর ছিল ১০০ টাকা বেশি। শেষ পর্যন্ত কোম্পানিটি আর বাজারে তালিকাভুক্ত হতে পারেনি। ফলে আর্থিক সংকটে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি। চলতি বছরের মার্চে এয়ারলাইন্সটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। ৩০০ কোটি টাকার মধ্যে ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান ও তার স্ত্রী সোমা আলম রহমানের মালিকানাধীন নিউ ইংল্যান্ড ইকুইটির নামে রয়েছে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার, শোর ক্যাপ হোল্ডিংসের নামে ৩২ কোটি টাকার শেয়ার, লুৎফর রহমানের নিজের নামে রয়েছে ৫০ লাখ টাকার শেয়ার। এছাড়া অ্যাবসুলিউট রিটার্ন ও ইকুইটি গ্রোথ লিমিটেডের ৩২ কোটি টাকা করে ৬৪ কোটি টাকার শেয়ার, অ্যাডভেন্ট ইকুইটি ম্যানেজমেন্টের নামে রয়েছে প্রায় ৩২ কোটি টাকা শেয়ার, ইনোভেটিভ ক্যাপিটালের নামে ১ কোটি টাকার ৩৪ লাখ শেয়ার। ব্যবসায়ী নূর আলীর নিজ নামে রয়েছে সাড়ে ১৬ কোটি টাকার শেয়ার। নূর আলীর মালিকানাধীন কোম্পানি বোরাক ট্রাভেলসের নামে রয়েছে ৪ কোটি টাকার শেয়ার, ইউনিক ইস্টার্ন প্রাইভেট লিমিটেডের নামে সাড়ে চার কোটি টাকার শেয়ার। অ্যাপোলো ট্রেডিংয়ের নামে রয়েছে প্রায় ৩২ কোটি টাকা শেয়ার। এর বাইরে বেশ কয়েকজন বিদেশী ও দেশী সাধারণ বিনিয়োগকারীর নামে কোম্পানিটির ৮২ কোটি টাকার শেয়ার রয়েছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া জিএমজির ফ্লাইট পরিচালনা সম্পর্কে সিভিল এভিয়েশনের পরিচালক ফ্লাইট সেফটি, উইং কমান্ডার নামজুল আনাম বলেন, এখন জিএমজিকে সম্পূর্ণ নতুনভাবে শুরু করতে হবে। আর এখন থেকে তাদের প্রতিটি কর্মকাণ্ড সিভিল এভিয়েশন পর্যবেক্ষণ করবে। একই সঙ্গে তাদের প্রতিটি কর্মকাণ্ড সিভিল এভিয়েশনকে জানাতে হবে। অন্যথায় তাদের অপারেশন চালু করা খুবই কঠিন হবে। নাজমুল আনাম জানান, কালো তালিকা থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে তাদের গত ১ বছর ধরে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করতে হয়েছে। রাতদিন কাজ করতে হয়েছে। কাজেই কোন প্রতিষ্ঠানের কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি আর নষ্ট করতে দেয়া যায় না। তিনি এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়মনীতি মেনে কাজ করতে অনুরোধ জানান।

No comments

Powered by Blogger.